নয়া পাকিস্তান গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিজেই আজ ক্ষমতাচ্যূত ইমরান খান (Imran Khan Rally Firing)। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে একরকম বাধ্যই হয়েছেন। নির্বাচনে প্রতিতদ্বন্দ্বিতা করার অধিকারও হারিয়েছেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য। সেই নিয়ে ওঠা পড়ার মধ্য়েই মরতে মরতে বাঁচলেন ইমরান (Imran Khan Injured)।

পাকিস্তানবে পদযাত্রায় বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ ইমরান খান

বৃহস্পতিবার গুজরানওয়ালায় পদযাত্রা নিয়ে এগনোর সময় ইমরানের কন্টেনার লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চলার শব্দ শোনা যায়। তাতে গুলিবিদ্ধ হন খোদ ইমরান, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, শিশু-সহ আরও অনেকে। ইমরানের দুই পায়ে চারটি গুলি লেগেছে বলে খবর। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় লাহৌরে।

সেখান থেকেই পাক সংবাদমাধ্যমে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা নিয়ে মুখ খুললেন ইমরান। বিবৃতি প্রকাশ করে বললেন, ‘আল্লাহ্ আমাকে পুনর্জীবন দিলেন। নতুন উদ্যমে লড়াই চালিয়ে যাব আমি’। ইমরানের পদযাত্রায় এক জনের মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর মিলেছে। সবমিলিয়ে শিশু-সহ আহত নয় জন।
দিনের হামলায় ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেনেটর জাভেদ খানও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। হামলার পর পিটিআই সমর্থকরা মিলে আততায়ীকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এই হামলার বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও জোরাল কারর ডাক দিয়েছে পিটিআই। ইমরান সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ইমরানের উপর হামলাকে খুনের চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন।

ইমরানের উপর হামনলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ইমরানের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের উপর গুলি চলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রীকে গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আশাকরি বাকিরাও দ্রুত সেরে উঠবেন’।

শেহবাজের কথা, ‘এই ঘটনার তদন্তে পঞ্জাব প্রদেশ সরকারকে সর্বতো ভাবে সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হবে। পাকিস্তানের রাজনীতিতে হিংসার কোনও জায়গা থাকা উচিত নয়।’

এ দিন দুই আততায়ী মিলে ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন বলে দাবি সে দেশের পুলিশ সূত্রে। তাঁদের মধ্যে একজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। হামলার পর এক সন্দেহভাজনকে গুলি করে মেরে ফেলা হয় বলেও খবর
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours