রবিবার বিকেল ৪.৫০ মিনিটে বাড়ির পথে ররওনা দিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। শেষযাত্রাতেও আগলে রইলেন সব্যসাচী চৌধুরী।


হাসপাতাল থেকে বেরল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মরদেহ। প্রথমবার দেখা গেল সব্যসাচী চৌধুরীকে। গাড়ির সামনে বসে তিনি। মাথা নিচু। পিছনে কাঁচের গাড়িতে সাজান ঐন্দ্রিলার মরদেহ। সাদা ফুলে সেজে হাসপাতাল থেকে শেষযাত্রায় ঐন্দ্রিলা শর্মা। রবিবার বিকেল ৪.৫০ মিনিটে বাড়ির পথে রওনা দিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। শেষযাত্রাতেও আগলে সব্যসাচী চৌধুরী। গাড়ির সামনের সিটে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। পিছনে দীর্ঘ লাইন। পুলিশের হস্তক্ষেপে ভিড় সামাল দেওয়া যায় এদিন হাসপাতালের নিচে। রাস্তার দুধারে ঐন্দ্রিলাকে শেষবার দেখার জন্য শত শত মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁর কুঁদঘাটের বাড়িতে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেখান থেকে মরদেহে নিয়ে য়াওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুয়োতে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান হবে। যে স্বপ্নপূরী একটা সময় কেরিয়ার তৈরির আশায় পা রেখেছিলেন ঐন্দ্রিলা, আজ মাত্র ২৪ বছর বয়সে সেখানেই থামতে হল তাঁকে। অধরা থেকে গেল তাঁর স্বপ্ন। প্রতিটা পদে পদে সব্যসাচী চৌধুরী চেষ্টা করেছিলেন ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনার। অতীতে এমন অনেক মিরাকেল ঘটেছে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। তাই এবারও তেমনই আশা করেছিলেন সব্যসাচী।



কিন্তু সবটাই শেষ করে না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা শর্মা। ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুরু হয়েছিল জীবন-মরণ লড়াইয়ের তৃতীয় ইনিংস। টানা ২০ দিনের লড়াইয়ে ক্লান্ত ঐন্দ্রিলা অবশেষে হার মানলেন। যে প্রেমকাহিনির সাক্ষী থেকেছে দর্শকেরা, সোশ্যাল মিডিয়া, সেই অনুরাগীদের কাছেও শেষ সময় ফিরতে ভোলেননি সব্যসাচী। শেষ করা পোস্টে লিখেছিলেন- কোনওদিন এটা লিখতে হবে ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করুন। মিরাকেলের জন্য প্রার্থনা করুন। কিন্তু সেই মিরাকেল ঘটেও ঘটল না। শেষ আশা জেগেছিল সব্যসাচীর মনে, করেছিলেন দীর্ঘ পোস্টও। তবে রাত পোহাতেই সব শেষ। রবিবারই শেষকৃত্য ঐন্দ্রিলা শর্মার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours