আফগানিস্তান ম্যাচে স্টার্ককে অস্ট্রেলিয়ার একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এমনকী নিউজিল্যান্ড ম্যাচে প্রথম ওভারে ১৪ রান দেওয়া এবং ম্যাচ হারের জন্য অনেকেই স্টার্ককেই দায়ী করেছেন।


অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের তারকা বোলার মিচেল স্টার্ক (Mitchel Starc) এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। স্টার্কের এই ব্যর্থতার পিছনে একটি বড় কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। সিংহভাগ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, স্টার্কের ছন্দ হারানোর পিছনে আইপিএলে না খেলাই দায়ী। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য বিশ্রাম প্রয়োজন। তাঁদের মতে ফাস্ট বোলার হিসেবে ক্রিকেটের তিনটি ফর্ম্যাটে সমান ছন্দে বল করাটা বেশ কঠিন। কিন্তু ধারাবাহিক না খেলাও একজন প্লেয়ারের জন্য নেতিবাচক দিক। ম্যাচ খেলে যে মানের প্র্যাক্টিস হয়, সেটা নেটে সম্ভব নয়। স্টার্কের না জ্বলে ওঠার কারণ বিশ্লেষণ করল

আফগানিস্তান ম্যাচে স্টার্ককে অস্ট্রেলিয়ার একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এমনকী নিউজিল্যান্ড ম্যাচে প্রথম ওভারে ১৪ রান দেওয়া এবং ম্যাচ হারের জন্য অনেকেই স্টার্ককেই দায়ী করেছেন। শেষমেশ সুপার টুয়েলভ থেকেই ছিটকে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সাল থেকে আইপিএল খেলেননি স্টার্ক। এমনকী ২০১৪ সাল থেকে বিগ ব্যাশ লিগেও তাঁকে খেলতে দেখা যায়নি। সেই সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার দিকে বেশি নজর দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার। আইপিএল নিলামে নজরকাড়া দাম ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট না খেলার সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু ২০১২-১৯ এবং ২০২০-২২ এ স্টার্কের পারফরম্যান্সের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে, পরিসংখ্যান এমনই।

যদিও শেষ ১২ মাসে হওয়া টেস্ট ম্যাচগুলিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন মিচেল স্টার্ক। তিনি একমাত্র ফাস্ট বোলার যিনি অস্ট্রেলিয়ার শেষ ১০টি টেস্টের মধ্যে সব কটিতেই খেলেছেন, যার মধ্যে ৫টি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু টি-টোয়েন্টি স্টার্কের ছন্দপতন বারবারই অজিদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড ম্যাচে পুরনো স্টার্কের খানিক ঝলক দেখা গিয়েছিল। প্রথম ওভার মেডেনের পাশাপাশি ২ টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্টার্কের পরবর্তী ৩ ওভারে উঠেছে ৪৩ রান! অস্ট্রেলিয়ার নেট রান রেটেও যার প্রভাব পড়েছে।

গোটা বিশ্বের ব্যাটারদের অনেকের মধ্যে বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার স্টার্ক আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এই বিশ্বকাপের বাঁ হাতি বোলারদের মধ্যে পরিসংখ্যানের দিক থেকে স্টার্ক অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। আগামী দিনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্টার্কের কামব্যাক হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours