ইডি আদালতে জানিয়েছে, মানিকের বাড়ির কম্পিউটারে দুটি ফোল্ডারের হদিশ মিলেছে। সেখানে ৪ হাজার জনের নাম পাওয়া গিয়েছে।


প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পোক্ত ক্লু এল ইডি-র হাতে। তদন্তকারীদের দাবি, ছেলের জোড়া সংস্থায় ঘুরপথে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা খাটত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এই তথ্য হাতে এসেছে। ৫ কোটি ১১ লক্ষ টাকার হদিশ পেয়েছে ইডি। একটি সংস্থায় ঘুরপথে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ইডি জানতে পেরেছে। অন্য সংস্থায় ঘুরপথে লেনদেন ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার। মঙ্গলবারই ইডি আদালতে জানিয়েছে, মানিকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য় প্রমাণ হাতে এসেছে। মানিকের ছেলের পৃথক সংস্থায় একটিতে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ ও অন্যটিতে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই দুটি সংস্থাই চাকরির নিয়োগ সংক্রান্ত, পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিত। এছাড়াও তিন কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এটি একটি জয়েন্ট অ্য়াকাউন্ট। কিন্তু অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে আগেই। তাঁর নামে অ্যাকাউন্টটি রয়ে গিয়েছে। সেটাকে সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে কনভার্ট করা হয়নি। বাকি টাকা মানিকের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে।



ইডি আদালতে জানিয়েছে, মানিকের বাড়ির কম্পিউটারে দুটি ফোল্ডারের হদিশ মিলেছে। সেখানে ৪ হাজার জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। যাঁদের মধ্যে আড়াই হাজার জন ইতিমধ্যে চাকরি পেয়েছেন। বাকি দেড় হাজার জনের বর্তমান স্ট্যাটাস কী, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছে ইডি-র আইনজীবী। সেক্ষেত্রে এক এক জন চাকরি পিছু যদি সাত লক্ষ কিংবা সাড়ে সাত লক্ষ করে টাকা দেন, তাহলে সেই অঙ্কটা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে? তদন্তকারীরা বলছেন, গত ১৪ দিনের তদন্তে ১০ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। কিন্তু এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এখন গারদে মানিক, প্রেসিডেন্সি জেলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত সেই জেলেই ঠাঁই হয়েছে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours