ইস্তফা দিলেন লিজ় ট্রাস। বৃহস্পতিবার তিনি ইস্তফার বিষয়ে ঘোষণা করলেন।


প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সদ্য নির্বাচিত লিজ ট্রাস। দীর্ঘ জল্পনার পর অবশেষে নিজের ইস্তফার কথা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন তিনি। নির্বাচিত হওয়ার পর মোট ৪৪ দিন প্রধানমন্ত্রীর আসনে থাকলেন তিনি। আর্থিক নীতি নিয়ে নিজের দলের সদস্যের মুখেই পড়েছিলেন ট্রাস। তাঁর উপর আস্থা হারাচ্ছিলেন অনেকেই। অবশেষে তিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে তিনি ঘোষণা করলেন,’আমি কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। পরর্বতী নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগে অবধি প্রধানমন্ত্রী থাকব।’



দেশে করমুক্ত ব্যবস্থা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গদি হাশিল করেছিলেন লিজ ট্রাস। সেই লড়াইতে হারিয়েছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। তবে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টি প্রধান হয়েছিলেন ট্রাস সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্য়র্থ হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি পেশ করা মিনি বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। তারপরই টোরি পার্টির অন্দরে নিজের সমর্থকরাই ট্রাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তখন থেকেই ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল। এদিকে গত শুক্রবার থেকেই নিজের সরকারের ৪ জন বর্ষীয়ান মন্ত্রীর মধ্যে থেকে দু’জনকে খুইয়েছিলেন লিজ়।


প্রসঙ্গত, ট্রাসের বিরুদ্ধে ব্রিটেনে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে সম্প্রতি। এই পরিস্থিতিতে গতকালই তিনি বলেছিলেন, ‘আমি একজন যোদ্ধা এবং পালিয়ে যাব না। কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে আমি প্রস্তুত।’ এই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দিলেন লিজ ট্রাস। ট্রাসের ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে এবার মসনদে বসবেন কে? বরিস জনসন ইস্তফা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে লিজ়ের বিপরীতে ছিলেন সুনক। শেষ অবধি লিজ় টোরি পার্টির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হলেও সুনকের ঝুলিতেও খুব একটা কম ভোট আসেনি। ট্রাস যেখানে ৮১,৩২৬ জনের সমর্থন পেয়েছিলেন সেখানে সুনক পেয়েছিলেন ৬০,৩৯৯ জনের সমর্থন। ফলে এবার ব্রিটেনের রাজনীতি কোন দিকে মোড় নেয় তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours