নির্মল বাবুর মৃত্যুতে হাহাকার পড়ে গিয়েছে আলিপুরের বাড়িতে। শোকের ছায়া। পরিবার, প্রতিবেশী কেউই যেন এই মর্মান্তিক ঘটনা বিশ্বাসই করতে পারছেন না।
নিমতা: ফের পর্বতারোহণে গিয়ে মৃত্যু (Death in Trekking)। উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা থানা এলাকার আলিপুরের বাসিন্দা নির্মল বিশ্বাস। বয়স বছর ৪৩’এর আশপাশে। উত্তরাখণ্ডের গিয়া বিনায়ক পাসে (Ghiya Vinayak Pass Trek) গিয়েছিলেন ট্রেকিং করতে। বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন চলতি মাসের ১১ তারিখ। কিন্তু আর ফেরা হল না। যে পাহাড়ের প্রতি এত ভালবাসা, সেই পাহাড়ের কোলেই মৃত্যু হল তাঁর। ১৯ অক্টোবর মারা যান নির্মল বাবু। শুক্রবার রাতে নিমতার আলিপুরে নির্মলের পরিবার তাঁর মৃত্যুর খবর পান। সামিট শেষ করার কিছু আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। নির্মল বাবুর মৃত্যুতে হাহাকার পড়ে গিয়েছে আলিপুরের বাড়িতে। শোকের ছায়া। পরিবার, প্রতিবেশী কেউই যেন এই মর্মান্তিক ঘটনা বিশ্বাসই করতে পারছেন না।
ভ্রমণ নিয়েই কারবার ছিল নির্মল বিশ্বাসের। পেশায় ট্রাভেল এজেন্ট। পাহাড়ের প্রতি বিশেষ টান ছিল তাঁর। যখনই সময়-সুযোগ পেতেন, চলে যেতেন পাহাড়ে। এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন ট্রেক করেছেন তিনি। একের পর এক সামিট জয় করে ফিরে এসেছেন বাড়িতে। কিন্তু এবার আর তেমন হল না। লক্ষ্মীপুজোর দুই দিন পরে রওনা দিয়েছিলেন। এই নিয়ে পঞ্চম ট্রেক ছিল তাঁর। পাহাড়ের ট্রেক রুটে এমনিতেই মোবাইলে নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে। ঠিকমতো পরিবারের সঙ্গে কথাও হচ্ছিল না নির্মল বাবুর। গতরাতে হঠাৎই পরিবারের কাছে ফোন আসে। যে অভিযাত্রী দলটির সঙ্গে তিনি গিয়েছিলেন, সেই দলটির থেকেই ফোন আসে। জানানো হয়, ১৯ অক্টোবর রাতে তিনি মারা গিয়েছেন।
তবে কীভাবে মৃত্যু হল নির্মল বাবুর, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছেন তিনি। নির্মল বাবুর দিদিকে ফোনে জানানো হয়েছে, সেই রাতে প্রচুর তুষাতপাত হয়েছিল। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ছিল। তারউপর সারাদিন বরফের মধ্যে হাঁটাহাটি। নির্মল বাবুর দিদির অনুমান, সম্ভবত সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নির্মল বাবুর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন পরিবারের লোকেরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours