অধিনায়ক নরহরি শ্রেষ্টা ম্যাচ শেষ হতে সেলিব্রেশনের খুব বেশি সময় পেলেন না। তড়িঘড়ি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হল। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন নরহরি। দলের ৫-০ জয়ে তাঁর হ্যাটট্রিক। অধিনায়ক অবশ্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন সতীর্থদেরই।


বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য (Biswajit Bhattacharya) নাকি খুব গম্ভীর? বাংলার কোচকে এমন প্রশ্নই করা হয়েছিল। না হেসে পারলেন না বাংলার কোচ। আজ তাঁর হাসারই দিন। গর্বের হাসি। দলের সঙ্গে আনন্দেও মাতলেন। জাতীয় গেমসের (36th National Games) কিছুদিন আগে বাংলা দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। হাতে ছিল খুবই কম সময়। মাত্র সাত দিনের ট্রায়াল এবং ট্রেনিং। ৩০ জনের থেকে ২০ জনকে বেছে নিয়েছিলেন। গুজরাটে পৌঁছেও প্রস্তুতির সময় খুবই কম। এরই মধ্যে যতটা সম্ভব দলকে গড়ে তুলেছেন। কোচের ভরসার মর্যাদা রেখেছেন ফুটবলাররা। ফাইনালের মঞ্চে কেরলের (Bengal vs Kerala) মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ৫-০ ব্যবধানে এক পেশে জয়। বাংলার কোচের পরিষ্কার বার্তা, ফুটবলে বাংলা এখনও বাঘ।



কেরলের বিরুদ্ধে জিতে জাতীয় গেমসে সোনার পদক বাংলায়। উচ্ছ্বাসের মুহূর্ত মিস করলেন না বাংলার ফুটবলাররা। রেফারির শেষ বাঁশির শব্দে মাঠে প্রবেশ রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফদেরও। সকলে মিলে আনন্দে মাতলেন। জয় এক সঙ্গেই। আনন্দটাও সকলেই ভাগ করে নিলেন। ম্যাচ শেষে গর্বিত কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘কেরলের বিরুদ্ধে অনেক দিন পর আমরা এত বড় ব্যবধানে জিতলাম। অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছে আমার ছেলেরা। যারা মনে করে বাংলার ফুটবল শেষ। এটা যেন তাদের বার্তা। দেখে নিন, বাংলা এখনও বাঘ।’ আরও যোগ করলেন, ‘এ বছর আমি প্রস্তুতির সুযোগ পাইনি। কলকাতা লিগের সেরা দলের প্লেয়ারদেরও পাওয়া যায়নি। দলের সকলকে এই এই বিশ্বাসটাই দিয়েছিলাম, চাইলে তোমরা সেরা হতে পার। ওরাই সেই কাজটা করে দেখাল।’

অধিনায়ক নরহরি শ্রেষ্টা ম্যাচ শেষ হতে সেলিব্রেশনের খুব বেশি সময় পেলেন না। তড়িঘড়ি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হল। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন নরহরি। দলের ৫-০ জয়ে তাঁর হ্যাটট্রিক। অধিনায়ক অবশ্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন সতীর্থদেরই। বলেন, ‘আমাদের জন্য বড় জয়। আমরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে লড়াই করেছি।’ হ্যাটট্রিক প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার কাছে বিশেষ মুহূর্ত। দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। সতীর্থরা না থাকলে হ্যাটট্রিক হত না। ওদের (কেরল) খেলার ধরন সম্পর্কে আমাদের ধারনা ছিল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours