মাথায় ফুল পড়ার ঘটনাটি সে সকলকে জানাই। এমনই সময় পিঁড়ি নিয়ে হাজির ছোটমা। রঞ্জা কি মুখ ভার করে বসে থাকতে দেখে সে প্রশ্ন করে তোর আবার কি হল।


কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি রঞ্জা, দেখতে দেখতে বিয়ের দিন হাজির। সকলের শত চেষ্টা শত বোঝানোতেও কিছুতে রঞ্জা ও মল্লারকে একসঙ্গে বিয়ে পিঁড়িতে বসানো যাচ্ছে না। অভিমানের পাহাড় এতটাই জমে গিয়েছে যে একে অপরকে ভালোবাসার কথাটুকু বলতে বর্তমানে নারাজ। পরিস্থিতি যখন ধিরে ধিরে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে তখন মল্লার ঠিক করে সে রঞ্জার বিয়েতে দস্তুর মত খাটবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ, সকলের থেকে বেশি ব্যস্ত এই দিন মল্লার। আহির থেকে পিলু সকলেই দেখে অবাক হয়ে যায় এও কি সম্ভব। কেন নিজেকে এতটা কষ্ট দিচ্ছে মল্লার! বিয়ের মন্ডপ সাজানো থেকে শুরু করে রঞ্জার মাথার ফুল নিয়ে আসা, সমস্তটাই করতে গিয়ে কি তার মানসিক যন্ত্রণা আরও বেড়ে যাচ্ছে না? সরাসরি প্রশ্ন করে বসে আহির।


অন্যদিকে পিলু খুব ভালই বুঝতে পারছে রঞ্জন মনের মধ্যে কোন ঝড় বর্তমান। নিজেকে ঠিক যতটা কঠিন করে রাখার চেষ্টা করছে সেই মুহূর্তে ততটা কঠিন ভেতর থেকে সে নয়। এমনই সময় তার মুখোমুখি এসে দাঁড়ায় মোল্লার। হাতে ফুল দেখামাত্রই মেজাজ হারায় রঞ্জা। কেন এসব করছে মল্লার! কি পাচ্ছে এভাবে রঞ্জাকে কষ্ট দিয়ে। ফুলটা ছিড়ে ফেলে দিতে গিয়েও পারে না সে। পাশে দাঁড়িয়ে থেকে মল্লিকা প্রশ্ন করে একটা ফুলের মালাই ছিড়ে ফেলে দিতে পারল না রঞ্জা, তাহলে সম্পর্ক ছেঁড়ার কথা ভাবছে সে কীভাবে? যদিও পিলুর বিশ্বাস কিছু না কিছু মিরাকেল ঘটাবেই ভগবান।

তার মাথায় ফুল পড়ার ঘটনাটি সে সকলকে জানাই। এমনই সময় পিঁড়ি নিয়ে হাজির ছোটমা। রঞ্জা কি মুখ ভার করে বসে থাকতে দেখে সে প্রশ্ন করে তোর আবার কি হল। রঞ্জার পাল্টা উত্তরই জানে ফাঁসিটা কেউ আসামিকে কিছুটা সময় দেওয়া হয় এ ক্ষেত্রে কি তাকে সেটুকুও দেওয়া হবে না। পরিস্থিতিটা বুঝতে পেরে এগিয়ে আসে পিলু, জানায় যেতে তো হবেই। এরপর সত্যি কি বিয়ে পিরিতে বসবে রঞ্জা! সত্যি কী মল্লার স্বপ্ন পূরণ হবে না! কি রয়েছে এই জুটির কপালে জি বাংলার ধারাবাহিক পিলুতে এখন টানটান উত্তেজনা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours