নবান্নের (nabanna) কাছেই শিবপুরে (shibpur) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (electrocution) হয়ে ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু (tragic death)। বিদ্যুতের কাটা তার পায়ে লেগে মারা গেল ষষ্ঠ শ্রেণির (sixth grade) ছাত্র (student)। ফুটবল (football) খেলার সময় ঘটনাটি ঘটে, জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে। হঠাতই এমনই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া
কী ঘটেছিল?
নবান্ন থেকে মাত্র হাফ কিলোমিটার দূরে শিবপুরের মালিবাগানে ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে এভারগ্রিন স্পোর্টিং ক্লাব নামে একটি স্থানীয় ক্লাবের একটি ছোট মাঠে বাচ্চারা প্রতি দিন ফুটবল খেলে। আজও তারা ফুটবল খেলছিল। হঠাতই একটা কাটা তার ইরফান খান নামে ১২ বছরের এক কিশোরের পায়ে জড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ ওই অবস্থাতেই পড়ে ছিল সে। পরে বিষয়টি আশপাশের বাসিন্দাদের নজরে আসায় পুলিশে খবর যায়। ছুটে আসেন পরিজনেরা। দ্রুত তাকে টোটো করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে ইরফানকে। শিবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, কিছু দিন আগে ক্লাবে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই জন্য আলো লাগানো হয়েছিল। তার জন্য বিদ্যুতের তার জোড়া হয়। সম্ভবত খেলার সময় ফুটবল লেগে তার ছিড়ে যায়। সেই তারই মাটিতে পড়েছিল যা থেকে দুর্ঘটনা ঘটে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও কর্তৃপক্ষের যুক্তি, নজরদারি থাকে। কিন্তু ফুটবল লেগে তার ছিঁড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। পড়ুয়ার অকালমৃত্য়ুতে তদন্ত চেয়েছেন তাঁরা। 

আগেও মর্মান্তিক ঘটনা নানা প্রান্তে...
শহর থেকে গ্রাম, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা রাজ্যের নানা প্রান্তে আকছার শোনা যায়। গত অগাস্টেই উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। জন্মদিন উদযাপন করতে গিয়ে শেষ হয়ে গিয়েছিলেন একই পরিবারের তিন সদস্য। টিনের তৈরি একটি বাড়িতে জন্মদিনের আয়োজন হয়েছিল। সমস্ত চাওয়া-না পাওয়া ভুলে যখন পরিবারের সকলে আনন্দ করছেন, সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। আচমকা শর্ট সার্কিট থেকে মৃত্যু ঘটে পরিবারের তিন সদস্যের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিট হয়েছে টের পেয়েই মেইন সুইচ বন্ধ করতে যান পরিবারের সদস্য বাবলু মুর্মু। তড়িঘড়ি মেইন সুইচ বন্ধ করলেও, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। সেই সময় টিনের দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসেছিলেন বাবুলর জ্যাঠামশাই কবিরাজ মুর্মু এবং জেঠিমা হপনময়ী সোরেন। তাঁরা দু'জনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। গোপাল মুর্মু নামের আরও একজন তড়িদাহত হন। এছাড়া বর্ষার সময় তড়িদাহত হয়ে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা বেশ কিছু ঘটেছে। এর পরও কেন সচেতনতা বাড়ছে না?   
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours