পশ্চিমবঙ্গে কৃষক-আত্মহত্যার সংখ্যা আসলে ঠিক কত? রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, শূন্য। আর, RTI’এর তথ্য বলছে, কেবলমাত্র একটা জেলাতেই এই সংখ্যাটা ১২২। দুই পরিসংখ্যানে, আকাশ-পাতাল ফারাক । এই নিয়েই তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। 

সম্প্রতি একজন RTI অ্যাক্টিভিস্ট ( Right To Information Activist ) এই বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করেন। তাতে যা উঠে এসেছে, তাই হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। ট্যুইটারে আক্রমণ শানিয়েছেন, এরাজ্যে বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ( Amit Malviya tweets ) । তিনি লিখেছেন, NCRB’র সাম্প্রতিক রিপোর্টে, রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, একজন কৃষকও আত্মহত্যা করেননি ! কিন্তু, RTI’তে জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরে কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা ১২২। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। তাঁর সরকার শুধু চোরেদের নয়, দুষ্কৃতীদের।
২৯ অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ, NCRB গতবছরের অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি, কৃষক আত্মহত্যার পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।পশ্চিমবঙ্গের নামের পাশে কৃষি ও কৃষি সম্পর্কিত ক্ষেত্রে আত্মহত্যা দেখানো হয়েছে শূন্য। কিন্তু, তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায়, এক সমাজকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ১২২ জন আত্মহত্যা করেছেন।

কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে অতীতেও বারবার বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে শাসক-বিরোধী। এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ করল RTI’এর পরিসংখ্যান। 

এছাড়া এবারের এননসিআরবি রিপোর্টে দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, ২০২১ সালে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি নারী নির্যাতনের মামলা রুজু হয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে। দ্বিতীয় স্থানে রাজস্থান। তৃতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম তিনে না থাকলেও, নারী নির্যাতনে এ রাজ্য প্রথম ৪ এই। এই নিয়েও আক্রমণ শানায় বিজেপি। এছাড়া, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ NCRB’র ২০২১ সালের পরিসংখ্যান বলছে, রুজু হওয়া ধর্ষণের মামলার নিরিখে দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে কলকাতায়, ১১টি। আর দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে দিল্লিতে। 

 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours