রবিবার মালদহের গাজোলে জয়প্রকাশের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়েই তাঁর গঙ্গারামপুরে এক আত্মীয় রয়েছেন বলে জানা যায়।


বিগত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি। কিন্তু, এবার মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে সিআইডিকে। রবিবার মালদহের গাজোলে মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। কোথা থেকে এসেছিল এত টাকা? প্রাথমিক তদন্তে একাধিক অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয়েছিল মাছ ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ সাহাকে। এবার জয়প্রকাশ সাহার আত্মীয় ওম গুপ্তার বাড়িতে হানা সিআইডি-র। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে ওম গুপ্তার গঙ্গারামপুরের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা।

রবিবার মালদহের গাজোলে জয়প্রকাশের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়েই তাঁর গঙ্গারামপুরে এক আত্মীয় রয়েছেন বলে জানা যায়। তাঁর সঙ্গে জয়প্রকাশের যোগসাজস রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, চলতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি এনসিবি ও বিএসফ যৌথভাবে অভিযান চালায় ওমের বাড়িতে। তখন তাঁর বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকে প্রায় ৩ মাস তাঁর ঠাঁই হয় বালুরঘাট সেন্ট্রাল জেলে। সূত্রের খবর, জয়প্রকাশের বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা আদপে ওম গুপ্তার। এদিনের তল্লাশি অভিযানের পর এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের। সে কারণে নতুন সূত্রের সন্ধানে এদিন ফের তাঁর গঙ্গারামপুরের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা।  

এর আগে জয়প্রকাশের বাড়িতে থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছিল তারমধ্যে বেশিরভাগই ছিল ৫০০ টাকার নোট। ছিল ১০০ টাকার নোটও। কিন্তু, কীভাবে তাঁর কাছে একেবারে এত টাকা এল তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। সূত্রের খবর, জয়প্রকাশের শোওয়ার ঘরে খাটের তলায় রাখা একটি ব্যাগের মধ্যে রাখা ছিল গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা। সূত্রের খবর, সেই টাকার উৎস খুঁজতে গিয়ে শুরুতেই তদন্তকারীদের ব়্যাডারে আসে ওমের নাম। তবে এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ওমের বাড়িতে হানা দিয়ে নতুন করে কোনও সূত্র তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসে কিনা এখন সেটাও দেখার। তবে ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours