সোমবার রাতে বৃষ্টি-বিধ্বস্ত বেঙ্গালুরুতে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হয়েছে ২৩ বছরের এক যুবতীর। বন্যা পরিস্থিতির জন্য পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।

প্রবল বৃষ্টির কারণে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। বেশিরভাগ অংশেই ব্যাহত দৈনন্দিন জীবন। তারই মধ্যে সোমবার রাতে বৃষ্টি-বিধ্বস্ত বেঙ্গালুরুতে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হয়েছে ২৩ বছরের এক যুবতীর। সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।



জানা গিয়েছে, নিহত মহিলার নাম অখিলা, তিনি একটি স্কুলের প্রশাসনিক বিভাগে কাজ করতেন। সূত্রের খবর, বাড়ি ফেরার পথে জলাবদ্ধ রাস্তায় তাঁর স্কুটিটি পিছলে গিয়েছিল। পড়ে যাওয়ার মুখে টাল সামলানোর জন্য তিনি পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, খুঁটিতে হাত দিতেই বৈদ্যুতিন শক লেগে তিনি নিচে পড়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর পরিবারের তাঁর মৃত্যুর জন্য ব্রুহত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে এবং ব্যাঙ্গালোর ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডকে দায়ী করেছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বেঙ্গালুরুর বেশ কয়েকটি এলাকা এখনও জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। ঘরবাড়ি এবং যানবাহন আংশিকভাবে প্লাবিত হওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় পাম্প হাউস প্লাবিত হয়ে গিয়ে জল সরবরাহও ব্যাহত হয়েছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এই অভূতপূর্ব বন্যার জন্য পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারের ‘দুর্নীতি’কে দায়ী করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও, তাঁর সরকার বৃষ্টি-বিধ্বস্ত শহরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতির পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর এই অবস্থার জন্য বাসবরাজ বোম্মাই অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের দোহাই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “কর্নাটক, বিশেষ করে বেঙ্গালুরুতে এর আগে কোনওদিন এক ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। গত ৯০ বছরে এমন বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি। সমস্ত ট্যাঙ্ক ভর্তি এবং উপচে পড়েছে। বেশ কিছু জলাশয়ের পার ভেঙ্গে গিয়েছে। এখনও অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে, প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে।”

বেঙ্গালুরুকে বলা হয় ভারতের সিলিকন ভ্যালি। কারণ এই শহরে বহু তত্যপ্রযুক্ত কর্মী থাকেন। প্লাবিত রাস্তা দিয়ে অনেককেই ট্রাক্টর কিংবা ক্রেনে চড়ে কর্মস্থলে যেতে দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্তাদের প্লাবিত আবাসিক সোসাইটি থেকে সপরিবারে একটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শহরের বস্তি এলাকার বাড়িগুলি সম্পূর্ণভাবে ডুবে গেছে
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours