কোচবিহার যে বাংলার অংশ, এই দাবি করার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, এমনটাই বলেছেন জীবন সিংহ।

ফের এক অডিয়ো বার্তা দিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। মায়ানমারের গোপন ডেরা থেকে অডিয়ো বার্তায় এবার সরাসরি আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। কোচবিহার যে কোনও ভাবেই বাংলার অংশ নয়, সে কথা উল্লেখ করে জীবন সিংহের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে এই দাবি করার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। একই সঙ্গে কেএলও প্রধানের হুঁশিয়ারি, বহিরাগতদের উৎখাত করতে প্রয়োজনে যুদ্ধের ডাক দিতে হবে।



কয়েকদিন আগেই এমনই একটি অডিয়ো বার্তায় জীবন সিংহ নাম না করে রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের রাজনীতি সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁদের দাবি জীবন সিংহের এই সব অডিয়ো বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

উল্লেখ্য, যখন জিটিএ-তে গোর্খাল্যান্ড প্রস্তাব পাশ হচ্ছে, তখন কামতাপুরের দাবি বারবার অডিয়ো বার্তার মাধ্যমে উস্কে দিচ্ছেন জীবন। রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একাংশ জানিয়েছে, আগামী দু মাসের মধ্যেই মায়ানমারের গোপন ডেরারা ছেড়ে জীবন সিংহের ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করার কথা। সেই শান্তি আলোচনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত জীবন সিংহের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে অসম সরকারের। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি।

পৃথক কামতাপুরের দাবি করছে যে কেএলও, তারা মূলত দুই রাজ্যে সক্রিয়, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গ। অসম সরকার আলোচনায় তৈরি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলোচনায় যোগ না দিলে এই শান্তি আলোচনা কার্যত ব্যর্থ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেই কারণেই কি জীবন সিংহ পরোক্ষে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে? আবার কেউ বলছেন, উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখবার জন্যই এই পাল্টা চাপের কৌশল নিয়েছেন জীবন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours