গরু পাচার মামলায় আসানসোল বিশেষ কারাগারে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। একই জেলে রয়েছে তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও।


অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। বুধবারই তাঁকে পেশ করা হয়ে আসানসোল সিবিআই আদালতে। তার আগে ফের জেরার মুখোমুখি হলেন গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূলের জেলা সভাপতি। মঙ্গলবার তাঁকে জেলেই সিবিআই আধিকারিকদের জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন অনুব্রত। প্রায় ৫০ মিনিট জেরা করা হয় তাঁকে। সায়গলকেও এ দিন জেরা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে এ দিন প্রশ্ন করা হয় তাঁদের। তবে খুব বিস্তারিত কিছু না বললেও অনুব্রত এ দিন আধিকারিকদের কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।




এ দিন প্রায় দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে জেলে। সিবিআইয়ের একজন তদন্তকারী অফিসার ভিতরে ঢুকেছিলেন। জানা গিয়েছে, এ দিন প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাইগল হোসেনকে। পরে অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হয়। সায়গলকে প্রায় ২০ মিনিট অনুব্রতকে ৫০ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গলকে ১৪ টি প্রশ্ন করা হয় ও অনুব্রত মণ্ডলকে ২০ টি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সম্পত্তির হিসেব সম্পর্কিত বিষয়ে তাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, সিবিআই সম্প্রতি যে সব তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে, সে বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ব্যবসায়ী ও মেয়ে সুকন্যার সম্পত্তি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে। সায়গল কিছু কিছু প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বলে দাবি সিবিআই আধিকারিকদের। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলও নাকি আগের দিনের তুলনায় কিছুটা নমনীয় ছিলেন। প্রশ্নের মুখোমুখ হয়ে একেবারে চুপ থাকেননি তিনি। ‘দেখছি’, ‘খোঁজ নিচ্ছি’, ‘দেখব’ এই ধরনের উত্তর দিয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ প্রথম থেকে তদন্তে অসহযোগিতার যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল এ দিন তা হয়নি। বেশ কিছু প্রশ্নের নাকি সাবধানি উত্তরও দিয়েছে অনুব্রত।



বুধবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রত আদালতে গেলে মানুষের ভিড় বাড়ছে তাই ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাই বুধবার সশরীরেই হাজিরা দিতে হবে অনুব্রতকে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours