ঘড়িতে তখন বেলা এগারোটা। ঠিক সেই সময় গ্রাহক সেজে স্বর্ণঋণ দানকারী একটি সংস্থার অফিসে ঢোকে জনা ছ'য়েক দুষ্কৃতী।


ঠিক যেন সিনেমা! ডাকাতির সময় বাধা পেতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। এরপর পুলিশও হাতে তুলে নেয় বন্দুক। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের জেরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু এক দুষ্কৃতীর। আটক হয় আরও একজন। তবে বাকিরা পালিয়ে গিয়েছে।


ঘড়িতে তখন বেলা এগারোটা। ঠিক সেই সময় গ্রাহক সেজে স্বর্ণঋণ দানকারী একটি সংস্থার অফিসে ঢোকে জনা ছ’য়েক দুষ্কৃতী। এরপর অফিসে ঢোকার পরই রীতিমত আসল রূপ দেখায় তারা। প্রত্যেকেই হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অফিসের কর্মচারিদের ভয় দেখাতে থাকেন। তবে সময় মত খবর পেয়ে যায় ধানবাদ থানার পুলিশও।

এরপর সঞ্জীব কুমারের নেতৃত্বে ওই ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এরপর পুলিশ আধিকারিকদের ঢুকতে দেখেই এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ডাকাতদল। পুলিশ ও ডাকাত দু’পক্ষের শুরু হয় গুলির লড়াই। তখনই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় এক দুষ্কৃতীর। আটক হয় একজন। বাকিরা পালিয়ে যায়। তবে ঘটনায় আহত হননি কোনও পুলিশ কর্মী।

প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর ধানবাদেরই এক সোনার দোকানে ডাকাতি ঘটনা ঘটে। লাখো টাকার সম্পত্তি লুঠ হয়। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। দুই দোকানদার জখম হয়েছিলেন সেদিন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার স্বর্ণঋণ প্রদানকারী সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যদিও, ডাকাত ধরা পড়ল ও সোনা গহনা লুঠপাটে ব্যর্থ হয় দুস্কৃতীরা। এই ঘটনার আগে অর্থাৎ গত কয়েক বছরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কেও আাসানসোলেও তিনবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। বিহারের সুবোধ গ্যাঙ এই ঘটনার পেছনে আছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।



প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যাঙ্ক কর্মী বলেন, ‘চোখের সামনে আমরা দেখছিলাম গুলির লড়াই চলছিল। পুলিশ আগে থেকেই খবর পেয়েছিল। তারপরই তারা ব্যাঙ্কে চলে আসে। এরপর থামায় ওদের। এর আগেও ডাকাতি হয়েছিল বেসরকারি একটি ব্যাঙ্কে।’

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours