২০১৬ SLST-র মাধ্যমে নবম-দশমে কতজন ভুয়ো নিয়োগ হয়েছেন? স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) এবং সিবিআইয়ের থেকে জানতে চাইলো হাইকোর্ট (Calcutta high Court)। অবিলম্বে সেই ভুয়ো নিয়োগ খুঁজে বের করে অযোগ্যদের চাকরি থেকে থেকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পৃথক ভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি এবং সিবিআই (CBI) আদালতে রিপোর্ট জমা করবে। ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। বুধবার হাইকোর্ট জানিয়েছে। বেআইনি নিয়োগের বিষয়ে এসএসসি আলাদা ভাবে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে। যারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে তাঁদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হবে। মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের সেই চাকরি দেওয়া হবে।

খুব দ্রুত এই বিষয়ে নিষ্পত্তি চেয়ে এসএসসি এবং সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে শুধু এসএসএসি নয় কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে পৃথক রিপোর্ট দেবে সিবিআইও। যদিও এসএসসি-র আইনজীবীর সওয়াল, 'এটা সংখ্যা স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষে খুঁজে বের করা অত্যন্ত কঠিন। সার্ভিস কমিশন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না। কাদের নিয়োগ আইনি আর কাদের নিয়োগ বেআইনি? জিজ্ঞাসাবাদ না করলে বোঝাও সম্ভব নয়। কিন্তু সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বের করতে পারবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন কীভাবে সেটা করবে?'

যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের উল্লেখ, তাদের তথ্য অনুযায়ী মোটামুটি ১৬-১৭ জনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এরপরেই আদালতের নির্দেশ, 'স্কুল সার্ভিস কমিশন মামলাকারীদের আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। কতজনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ? চিহ্নিত করা গেল সেটা আদালতকে জানাতে হবে। পাশাপাশি একইসঙ্গে সিবিআইকেও রিপোর্ট দিয়ে জানাবে। তারা তদন্তের প্রেক্ষিতে বের করবে কতজনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। অযোগ্যদের অবিলম্বে চাকরি থেকে অপসারন করে, যারা ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে তাদের চাকরিতে নিযুক্ত করা হবে।'

পাশাপাশি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে একটা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে, নবম-দশমে তারা কতজনকে নিয়োগপত্র দিয়েছে? ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব নথি মামলাকারীদের আইনজীবীদের হাতে দিতে বলেছে আদালত।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours