২০০৬ সাল থেকে জমি আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হয়েছিল সিঙ্গুর। ধর্না-অনশনে বসেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেশ সিঙ্গুরে থেকে প্রকল্প গুটিয়ে নেয় টাটা। বন্ধ হয়ে যায় কারখানা। আর ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর থেকে টাটার চলে যাওয়াকে আজও বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করে ।
সিঙ্গুর থেকে কারখানা সরিয়ে গুজরাতের সানন্দে বিশাল কারখানা তৈরি করে টাটা গোষ্ঠী। এখন সেখানে প্রচুর উৎপাদন ও চাকরি। সম্প্রতি রাজ্য সরকার কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিতদের বিভিন্ন সংস্থায় যে নিয়োগপত্র দিচ্ছে, তা মধ্যে রয়েছে গুজরাতের সানন্দে টাটা মোটরসের কারখানায় অন জব ট্রেনিংয়ের নিয়োগপত্রও।
তা নিয়ে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তৃণমূলের অতীতের আন্দোলনকে কাঠগড়ায় তুললেন অধুনা বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। । কটাক্ষ করে ট্যুইটে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, কর্মফল! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার একটা প্রজন্মের ভবিষ্যত্ নষ্ট করেছেন। এর শুরু হয়েছে, সিঙ্গুর থেকে টাটাদের গুজরাতের সানন্দে বিতরণ পর্ব থেকে। এখন তিনিই রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের সানন্দের টাটা মোটরস কারখানায় ‘অন জব ট্রেনিং’এর নিয়োগপত্র দিচ্ছেন।
সব মিলিয়ে এখনও ঘুরে ফিরে রাজ্য রাজনীতিতে ফিরে আসে সেই সিঙ্গুর...সেই জমি আন্দোলন...সেই টাটাদের কারখানা না হতে পারার প্রসঙ্গ
Post A Comment:
0 comments so far,add yours