হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেলুড় থানা এলাকার ঘুসুড়ির জয়বিবি রোডের বাসিন্দা তৌসিফ। গত ৩ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে আন্দুলের হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।


বর্ষা আসতেই শুরু মশার উপদ্রব। করোনা আতঙ্ক কম হতে না হতেই এবার চিন্তা বাড়চ্ছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তারমধ্যে নিত্যদিন হাওড়া থেকে ডেঙ্গি পজ়েটিভ হওয়ার খবর মিলছে। মঙ্গলবার হাওড়ার বালিতে ডেঙ্গিতে আক্রন্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হল যুবকের। মৃতের নাম তৌসিফ সর্দার। বছর ঊনত্রিশের ওই যুবক আজ সকালে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেলুড় থানা এলাকার ঘুসুড়ির জয়বিবি রোডের বাসিন্দা তৌসিফ। গত ৩ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে আন্দুলের হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। যুবকের মৃত্যুতে ডেথ সার্টিফিকেট হিসেবে ডেঙ্গির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মৃত যুবক হাওড়া পুরসভায় ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন। বর্তমানে সেটি বালি পুরসভার অন্তর্গত।



তৌসিফের ডেথ সার্টিফিকেট(নিজস্ব চিত্র)

এই বিষয়ে বালি পুরসভার দায়িত্বে থাকা হাওড়া সদরের মহকুমাশাসক তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ জানতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডেই নিয়মিত ময়লা পরিষ্কারের কাজ করা হচ্ছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সচেতনতা প্রচার ও মশা মারার তেল ছড়ানোর কাজ হচ্ছে। কিন্তু এরপরও ডেঙ্গিতে ওই যুবকের মৃত্যু কেন হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

অন্যদিকে, এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর তাফজিল আহমেদ জানালেন, ‘পুরসভায় বোর্ড না থাকার ফলে ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নিয়মিত নজরদারির অভাবেই বাসিন্দারা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কারণ কাউন্সিলররা থাকলে তাঁরা নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই বা মশা মারার তেল ছড়ানোর মতো নজরদারি রাখেন। সেই কাজটি বর্তমানে বন্ধ থাকার জন্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাওড়া পুরসভায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাটা প্রায় ৪০০। পেরিয়েছে গিয়েছে। এর আগে এই এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। যার জেরে আতঙ্ক ছড়ানোর পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে এসেছে।একই সঙ্গে এলাকাবাসীর মধ্যে পুরসভার ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours