২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর বের হয় লিজ দেওয়ার নোটিস। তারপর তা পায় মলয় পিটের ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’।


কেষ্টভূমে আরও এক ‘দুর্নীতি’। বৃদ্ধাশ্রমের নামে সরকারি জমি লিজে নিয়ে রমরমিয়ে চলছে রিসর্ট! লিজে নিয়েছেন আবার সেই অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ। আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্তা মলয় পিট! TV9 বাংলায় সুপার এক্সক্লুসিভ তথ্য। ছিল রুমাল। হয়ে গেল বিড়াল!! হওয়ার কথা ছিল বৃদ্ধাশ্রম। হয়ে গেল ঝাঁ চকচকে হোটেল গেস্ট হাউস!বৃদ্ধাশ্রমের আড়ালে রিসর্ট! কেষ্টভূমে ফাঁস আরও এক কীর্তি। সামান্য টাকায় বিশাল সরকারি বৃদ্ধাশ্রমের লিজ দেওয়া হয়েছিল অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্তা মলয় পিটকে। কিন্তু তারপর? হয় সেটা রিসর্ট।



খবর নিতে ফোন করেছিল TV9 বাংলা। শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের তৈরি ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’ বৃদ্ধাশ্রম না হোটেল? রুম আছে কি? ফোনে জানানো হয়েছিল, রুম আছে। সেই মতোই পৌঁছে যান TV9 বাংলার প্রতিনিধি।

গিয়ে দেখা যায় এ তো এক্কেবারে ঝাঁ চকচকে কেতাদুরস্ত রিসর্ট। বৃদ্ধাশ্রমে কেন হোটেল বুকিং? প্রশ্ন করতেই ঘাবড়ে যান ম্যানেজার।

রিসেপসনের টেবিলে গেলে দেখা মেলে গেস্ট হাউজ় ও হোটেল চালানোর ভিজিটিং কার্ড। TV9 খোঁজ খবর করতেই শুরু হয় তত্পরতা। রাস্তা থেকে উধাও হোর্ডিং! থেমে যায় বুকিং! পর্যটকশূন্য করে ফেলা হয় গোটা হোটেল। বদলে যায় রিসেপশনের খাতা। রুম চার্ট সরিয়ে দেওয়া হয়। বুকিং খাতাও উধাও! মনকি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয় গেস্টহাউজ়ের ছবি, প্রচার, বুকিং পদ্ধতি, ফোন নম্বর সবকিছুই। কেন হঠাত্‍ বিতর্কে আসতেই উধাও ওয়েবসাইট?

সরকারি নথি বলছে, কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মলয় পিট এই বৃদ্ধাশ্রমের লিজ নেন। বৃদ্ধাশ্রমের দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি হয়। ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর বের হয় লিজ দেওয়ার নোটিস। তারপর তা পায় মলয় পিটের ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’।

অভিযোগ, তার পরই ধাপে ধাপে বদলে যায় বৃদ্ধাশ্রম। হয়ে ওঠে নামী হোটেল। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন সমাজকর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামী। একাধিক তথ্য সহ টুইট করেছেন তিনি। প্রায় দেড় একর জায়গার উপর সরকারি ভবন। এক তলায় ১৭টি ও দোতলায় ১৮টি এসি রুম রয়েছে। মোট ৩৫টি ঘর সহ পুরো ক্যাম্পাসের ভাড়া কম করে ৫৪ হাজার ৯১০ টাকা। এত কিছুর পরও কেন মুখে কুলুপ?

ম্যানেজার বাপি মাজি বলছেন, “বিশেষ কিছু জানতে হলে আমাদের কর্তৃপক্ষের কাছে যান।” দিনে দুপুরে লুঠ চলছে বলে অভিযোগ করেন শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্যদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রামচন্দ্র ডোম। তাঁর কথায়, “এরকম একটা বৃদ্ধাশ্রমকে সম্পূর্ণ তার চরিত্র পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহার করতে দেওয়া ব্যক্তিগত মালিককে মুনাফার জন্য, এটা ভয়ঙ্কর অপরাধ।”

সরব বিরোধীরাও। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “লোকদের কাছ থেকে জোর করে জমি দখল করা হয়েছিল কারখানা তৈরি হবে বলে, সেখানে ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে। লোকজন ধর্না দিচ্ছিল। তারা পুলিশের লাঠি খেয়েছে। গায়ের জোরে ব্যবসা হচ্ছে।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours