কাটোয়া কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন, "অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারেনি। ভর্তির জন্য ফর্ম ফিলাপ করলেও সঠিক সময়ে মেসেজ না পেয়ে এই বিপত্তি হয়েছে।


স্নাতক স্তরে ভর্তির দাবিতে কলেজ অধ্যক্ষকে ঘিরে ছাত্র বিক্ষোভ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা কাটোয়া কলেজে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে কাটোয়া কলেজ চত্বরে মিছিল করে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন কলেজ পড়ুয়ারা। স্নাতক স্তরে ভর্তির ফর্ম জমা করেও মেসেজ না পেয়ে অনেক আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হতে পারেনি বলে অভিযোগ।

বুধবার তা নিয়ে কলেজে উত্তেজনা তৈরি হয়। এদিন ভর্তির দাবিতে ছাত্ররা অধ্যক্ষের ঘরে স্লোগানের সঙ্গে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভ শেষে অধ্যক্ষের কাছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফ থেকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল, ভর্তির সময়ে ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু মেসেজ না আসায় সমস্যা পড়েছে।

কাটোয়া কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন, “অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারেনি। ভর্তির জন্য ফর্ম ফিলাপ করলেও সঠিক সময়ে মেসেজ না পেয়ে এই বিপত্তি হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যথার্থ বলে মনে করি। ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিষয়টা আমরা সহানুভূতির সঙ্গে দেখছি।
এদিকে স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে না পারা ছাত্র-ছাত্রীরদের বক্তব্য, “ইন্টারনেটের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আমরা আবেদনের পর আমরা কোন মেসেজ পাইনি। আমাদের একটা বছর নষ্ট হবে এইজন্য অধ্যক্ষের কাছে এসেছিলাম।” বিক্ষোভরত এক ছাত্রের বক্তব্য, “অনেকেই ফর্ম ফিলাপ করেছেন, কিন্তু তাঁদের ফোনে মেসেজ আসেনি নির্দিষ্ট সময়ে। অনেকে আবার ফর্ম ফিলাপ করতে পারেনি। আজকে আমরা প্রিন্সিপালের কাছে এটাই দাবি করলাম। নাহলে একটা বছর নষ্ট হবে।” তবে কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার ভর্তির আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ছাত্রদের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দিল। মেসেজ যায়নি কিংবা মেইল যায়নি, সেটা টেকনিক্যাল কারণ। ভর্তি সংক্রান্ত বিষয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে হয়। আমরা সেটা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাবো। “
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours