পাইলাস, যাকে ক্যাপ ক্লাউড বা স্কার্ফ ক্লাউডও বলা হয়, তা আসলে হল কিউমুলাস বা কিউমুলোনিম্বাস মেঘের ঠিক উপরে তৈরি হওয়া মসৃণ মেঘের এক আস্তরণ।
আকাশে মেঘের খেলা প্রায়সময়ই দেখা যায়। কখনও ঘোড়ার আকার, কখনও আবার পাখি। কিন্তু শুধু আকারই নয়, রঙও বদল করে মেঘ। একসঙ্গে অনেক রঙের মেঘ কখনও দেখেছেন? অদ্ভুত এই নির্দশনেরই সাক্ষী থেকেছে চিনের গুয়াংডং প্রদেশ। সেখানেই ভিন রঙের মেঘ নজরে এসেছে। এক নজরে দেখলে প্রথমে রামধনু বলে মনে করা হলেও, এটি আসলে মেঘ। এক তুলো পেজা মেঘের উপরেই গোলাপি, আকাশি আভার এই রেশ দেখা গিয়েছিল।

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং প্রদেশের পুনিং সিটিতে গত অগস্ট মাসের শেষভাগে এই রামধনুর মতো দেখতে মেঘ দেখা যায়। বাসিন্দারা কিউমুলাস মেঘটির ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই হইচই পড়ে যায়। রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় সেই মেঘের ছবি। এখনও অবধি ১.৩ কোটিরও বেশি মানুষ ওই মেঘের ছবি দেখেছেন এবং ৫ লক্ষেরও বেশি লাইক পড়েছে।

পাইলাস, যাকে ক্যাপ ক্লাউড বা স্কার্ফ ক্লাউডও বলা হয়, তা আসলে হল কিউমুলাস বা কিউমুলোনিম্বাস মেঘের ঠিক উপরে তৈরি হওয়া মসৃণ মেঘের এক আস্তরণ।

 কীভাবে তৈরি হয় এই উজ্জ্বল মেঘের পুঞ্জ?
বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, মূলত বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত ক্ষুদ্র বরফের কণা বা জলবিন্দু থেকেই এই ধরনের মেঘ তৈরি হয়। বরফের বড় টুকরো যেমন লুনার বা সোলার হলো তৈরি করে, ঠিক সেইভাবেই ছোট ছোট বরফ কণা বা জলের বিন্দুর উপরই আলোক রশ্মি পড়ে এই ভিন্ন রঙের মেঘ তৈরি হয়। ঠিক যেমন ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের উপর আলো পড়লে বিভিন্ন রঙে বের হয় তার থেকে, ঠিক সেইভাবেই এই বরফকণা বা জলবিন্দুর উপরেও আলো পড়লে রঙিন আলোকরশ্মি বিচ্ছুরিত হয়। একটি রঙের মেঘের উপরে আরেকটি রঙের মেঘ পরপর মিলেই এই ধরনের রামধনুর মতো দেখতে মেঘ তৈরি হয়।

তবে এই মেঘ দীর্ঘক্ষণ থাকে না, পাইলাস মেঘের নীচে যে বড় মেঘটি থাকে, তা ধীরে ধীরে উপরে উঠে ওই রঙিন মেঘটির সঙ্গে মিশে যায়। ভূপিষ্ঠ থেকে কম উচ্চতাতেই এউ মেঘ তৈরি হয়। যদি বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে বা শীতল বাতাস হিমাঙ্কে পৌঁছয়, তবে এই ধরনের মেঘ তৈরি হয়। এই মেঘ অত্যন্ত পাতলা হয় এবং বরফের ছোট কণা থেকে তৈরি হয়।



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours