মীনা গিরিসাবালা জানান, বৃষ্টির জন্য ইয়েমালুরে তাদের বাড়ি প্লাবিত হতেই তিনি পরিবারকে নিয়ে হোটেলে উঠেছিলেন। ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের একটি হোটেলে এক রাত কাটানোর জন্য তাঁকে ৪২ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে।


লাগাতার বৃষ্টিতেই বানভাসি টেক শহর বেঙ্গালুরু। বিগত কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টির জেরেই গোটা কর্নাটক ভাসছে। তবে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি হাব বেঙ্গালুরুই। সেখানে বাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, অফিস সমস্ত কিছুই জলের তলায় ডুবে গিয়েছে। যাতায়াতের জন্য পথেঘাটে চলছে নৌকা, যেখানে জল তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম, সেখানে ট্রাক্টরে চেপে স্কুল-অফিসে যাচ্ছন সকলে। এদিকে, বৃষ্টির জলে ঘর-বাড়ি ডুবতেই অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন হোটেলে। চাহিদা বাড়তেই তরতরিয়ে বাড়ছে হোটেল রুমের ভাড়াও। জানা গিয়েছে, অনেক হোটেলেই প্রতি রাতের জন্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এবং এই খরচ একটি সাধারণ রুমের জন্যই।

লাগাতার বৃষ্টির জেরে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীরাই। পার্পেলফ্রন্ট টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও মীনা গিরিসাবালা জানান, বৃষ্টির জন্য ইয়েমালুরে তাদের বাড়ি প্লাবিত হতেই তিনি পরিবারকে নিয়ে হোটেলে উঠেছিলেন। ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের একটি হোটেলে এক রাত কাটানোর জন্য তাঁকে ৪২ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে।

ওয়ো সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “বেঙ্গালুরুতে ওয়ো হোটেলের দৈনিক গড় খরচ হল ১ হাজার টাকা। এই বৃষ্টির মাঝে যাতে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় না পড়তে হয়, তার জন্যই হোটেলের ভাড়া কম রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নিয়ারবাই স্টে ও পে অ্যাট হোটেলের মতো অপশনও দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে, লীলা প্যালেসের তরফে জানানো হয়েছে, চাহিদা ও কত রুম বুকিং রয়েছে, তার উপরে হোটেল রুমের ভাড়া নির্ভর করে। বর্তমানে স্ট্যান্ডার্ড ডবল বেড রুমের প্রতি রাতের ভাড়া ১৫ হাজার ৭৫০ টাকা। এরসঙ্গে করও যোগ ‌হবে। সিঙ্গল রুমের ক্ষেত্রে ভাড়া ১৫ হাজার টাকা। র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সমস্ত সিঙ্গল ও ডবল রুম বুকিং হয়ে গিয়েছে। তারা বর্তমানে ডবল রুমগুলির জন্য ১১ হাজার ১০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছেন (কর অতিরিক্ত)। সিঙ্গল রুমগুলির জন্য ১০ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। অনেক হোটেলে আবার ৫০ শতাংশ অবধি ডিসকাউন্টও দেওয়া হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours