অভিযোগ, মাঝেমধ্যে ইটের টুকরো দিয়ে লোক দেখানো সারাইয়ের কাজ করছে প্রশাসন। দীর্ঘ গত কয়েক বছর ধরে রাস্তা অবস্থা খারাপ থাকলেও পাকাপাকিভাবে সারাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়নি।

রাজ্যের নানা প্রান্তে রাস্তার খারাপ অবস্থার কথা প্রায়শই শোনা যায়। শোনা যায় সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের কথাও। কিন্তু এবার একেবারে রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন তৃণমূলেরই (Trinamool Congress) পঞ্চায়েত প্রধান। রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে হ্যান্ড বিল ছাপিয়ে তা বিলিও করলেন প্রধান অনুগামীরা। এ ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তি বেড়েছে এলাকার তৃণমূল নেতাদের। এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে (Ketugram)। অভিযোগ, কেতুগ্রামের ফুটিসাকোর বাদশাহী সড়ক বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। 

ফুটিসাকো থেকে আনখোনা, কয়েক কিলোমিটারের এই রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে তা কার্যত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জায়গায় জায়গায় উঠে গিয়েছে রাস্তার পিচ। খানা-খন্দে ভরে গিয়েছে গোটা রাস্তা। বর্ষাকালে বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা প্রান্তে জমে গিয়েছে জল। যার জেরে যান চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা। সমস্যায় পড়ছে এলাকার বাসিন্দারা। স্কুলে যেতে গিয়েও বিপাকে পড়ছেন এলাকার বাসিন্দারা। 

অভিযোগ, মাঝেমধ্যে ইটের টুকরো দিয়ে লোক দেখানো সারাইয়ের কাজ করছে প্রশাসন। দীর্ঘ গত কয়েক বছর ধরে রাস্তা অবস্থা খারাপ থাকলেও পাকাপাকিভাবে সারাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রশাসনের নানা স্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এমনটাই জানাচ্ছেন কেতুগ্রামের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ সরিদুল্লার। আর সে কারণেই তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য রাস্তা সারাইয়ের দাবি লিফলেটে ছাপিয়ে বিলি করছেন তিনি। প্রসঙ্গত,দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উওরবঙ্গের সংযোগকারী রাস্তা হিসাবে যান চলাচলের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে বাদশাহী সড়ক। যা আবার SH7 নামেও পরিচিত। হলদিয়া থেকে শুরু হয়ে ফারাক্কা পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার মধ্য দিয়ে গিয়েছে এই রাস্তা। এই কারণে অনেকে আবার এই রাস্তাকে হলদিয়া ফারাক্কা সড়ক নামেও চেনেন। দীর্ঘ এই রাস্তারই পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ফুটিসাকো থেকে মুর্শিদাবাদের কুলি পর্যন্ত অবস্থা বর্তমানে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। 



এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ সরিদুল্লা বলেন, “এই রাস্তাটা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে। আমাদের এলাকার মধ্যে প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছ এই রাস্তা। আমাদের পঞ্চায়েত এলাকায় যতটা এই রাস্তা রয়েছে তা সারাইয়ের জন্য এর আগে একাধিকবার আবেদন করেছি। বিডিও-র কাছে আবেদন করেছি। যে কোনও কারণেই হোক রাস্তাটা আজও পাকাপাকিভাবে মেরামত করা হয়নি। এলাকারা জনপ্রতিনিধি আমি সে কারণেই প্রধান হিসাবে আমি আজ এই প্রচারাভিযান করছি। মানুষ যাতে সুষ্ঠভাবে পরিষেবা পায় সেটাই দেখছি।”

Follow us on
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours