রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের মৃত্যুর পর ভারত থেকে কোহিনুর হীরা ফেরানোর দাবি উঠেছে। শুধু কোহিনুরই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য চুরি করেছিল ব্রিটিশরা।


রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের মৃত্যুর পর ভারত থেকে কোহিনুর হীরা ফেরানোর দাবি উঠেছে। তবে শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেই চুরি করা সব সামগ্রী ফেরত দেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে। ষোড়শ শতকের শেষ থেকে বিংশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত, বিশ্বের একটা বড় অংশ জুড়ে ছড়িয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। আর এই বিশাল উপনিবেশের মানুষেদের কাছ থেকে বহু সম্পদ লুঠ করেছিল ব্রিটিশরা। ব্রিটিশ জাদুঘরে যে প্রায় ৮০ লক্ষেরও বেশি নিদর্শন রয়েছে, সেখানে এই চুরি করা সামগ্রীর সংখ্যাই বেশি। এখানে এমন ৯টি প্রখ্যাত ও দুর্মূল্য সাংস্কৃতিক নিদর্শনের কথা আলোচনা করা হল, যা ব্রিটিশ শাসকরা উপনিবেশ থেকে চুরি করেছিল

বর্তমানে নাইজেরিয়ার অংশ বেনিন। একসময় তেরশো শতকের কয়েক হাজার ব্রোঞ্জ ভাস্কর্য দিয়ে সজ্জিত ছিল বেনিন রাজপ্রাসাদ। কিন্তু ১৮৯৭ সালে বেনিন বিদ্রোহীদের শাস্তি দিতে সেনা অভিযান করেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। ব্রিটিশ সেনা গোটা শহর জুড়ে লুটপাট চালিয়েছিল। সেই লুঠের মাল, ৯০০টিরও বেশি ব্রোঞ্জের তৈরি ঐতিহাসিক বস্তু এখন ব্রিটিশ জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে। ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে, নাইজেরিয়া বেশ কয়েকবার ওই ব্রোঞ্জ ফেরত চেয়েছে। ব্রিটিশ জাদুঘর সেগুলি কোনওদিনই পুরোপুরি ফেরত দিতে রাজি হয়নি।



মাকদালা পাণ্ডুলিপি হল ইথিওপিয়ার বেশ কয়েকটি ধর্মীয় গ্রন্থ। মাকদালার যুদ্ধের পর ব্রিটিশরা, ইথিওপিয়ানদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল এটি। ১৮৬৮ সালে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা মাকদালার পাহাড়ের উপরে অবস্থিত দুর্গ ১৫টি হাতি এবং শয়ে শয়ে খচ্চরের পিঠে করে এক হাজারেরও বেশি ধর্মীয় পাণ্ডুলিপি চুরি করেছিল। এর মধ্যে ৩৫০টি পাণ্ডুলিপি রয়েছে ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে। ১৯৯৯ সালে, ইথিওপিয়া থেকে লুঠ হওয়া জিনিসগুলি ফেরত আনার লক্ষ্যে ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য রিটার্ন অব দ্য মাকদালা ইথিওপিয়ান ট্রেজার্স’ গঠিত হয়েছিল। সংগঠনটি কিছু কিছু ফিরিয়ে আনতে পেরেছে ঠিকই, তবে ধর্মীয় পাণ্ডুলিপিগুলি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours