পাল্টা প্রতিরোধের আহ্বান তিনি জানিয়েছিলেন। সেইমতো দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে 'বাঁশ কেটে' রাখার কথাও বলেছিলেন। সেই একই সুরে এবার তৃণমূল প্রধানকে মারধরের ঘটনায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদেরই পাশে দাঁড়ালেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 

নবান্ন অভিযান ঘিরে আজ তমলুক টোল প্লাজা এলাকায় কার্যত ধুন্ধুমার বেধে যায়। হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকে আটকে দেওয়ায় পথ অবরোধ করে গেরুয়া শিবির। বিক্ষোভ চলাকালীন সেখান দিয়ে যাওয়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান তারক জানাকে দেখে তেড়ে যান বিজেপি কর্মীরা। তাঁকে মারধর করে জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তারক জানা তৃণমূল পরিচালিত রঘুনাথপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
এনিয়ে তারক জানা বলেন, গতকাল বিকেলে তমলুক টোলপ্লাজায় মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার লাগিয়েছিলাম। সেগুলো ছিঁড়ছিল বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তখন বাধা দিই। পুলিশ দাঁড়িয়েছিল। সিসি টিভির ফুটেজও আছে। সেইসময় একটা ছেলে বলল, এই তুমি দাঁড়াও দাঁড়াও। তখনই অতর্কিতে হামলা চালানো হয়।


এপ্রসঙ্গে দলীয় কর্ম-সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়ে দিলীপ বলেন, "পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নেতা ওখানে এল কী করে ? নিশ্চয়ই মার খেতে এসেছে । পাওনা আছে। যদি এসে থাকে ভাল করে দেওয়া উচিত। হাসপাতালে ছেড়ে তাঁর ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করে এখানে আসবে আমাদের কর্মীদের। এই ধরনের শয়তানরা, সমাজবিরোধীরা পশ্চিমবঙ্গের এই বদনামের জন্য দায়ী।" প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযানের আগে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে নেমে বাঁকুড়ায় প্রস্তুতি সভা করেন দিলীপ। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, "এখন থেকে বাঁশ কেটে রাখুন। শুকাবেন না, ঘরের মধ্যে রাখুন। চাঁচবেন না, গাঁট বেরিয়ে থাকে যেন। মারলে গায়ে দাগ থাকবে।"

এদিকে আজ নবান্ন অভিযানে যাওয়ার পথে, দফায় দফায় বাধা দেওয়া হয় সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামিকে। প্রথমে সোনামুখী স্টেশনের বাইরে আটকানো হয়। ২৫ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। প্রতিবাদে সোনামুখী থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিধায়ক ও বিজেপি কর্মীরা। এরপর পাত্রসায়রের রসুলপুর বাজারে ফের আটকানো হয় বিধায়কের গাড়ি। বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাধা দেয়। পাত্রসায়র থানার গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক। এরপর গাড়িতে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours