পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য।


নিশ্চিত খবর ছিল ওই গাড়িটায় পাচার হচ্ছে মাদক। কিন্তু দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়ে কার্যত হতবাক পুলিশ। মাদকের ছিটেফোঁটা নেই গাড়িতে। কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্র কিভাবে ভুল হতে পারে? চিরুনি তল্লাশি চালাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ কর্তাদের। চোরা কুটুরিতে লুকিয়ে পাচার হচ্ছিল গাঁজা। আপাতত শ্রীঘরে চালকসহ মোট তিনজন। প্রাথমিকভাবে আন্তরাজ্য পাচার চক্রের তত্ত্ব মিললেও, সংলগ্ন দেশ গুলিতেও এর শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য। শনিবার রাতে তাদের কাছে খবর আসে লরিতে করে ত্রিপুরা থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ গাঁজা। সেই মতো একত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কে জাল পাতে পুলিশ। নজরদারি শুরু হয় জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর এলাকায়। বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী চিহ্নিত করা হয় লরিটি থেকে। আটক করে তল্লাশি চালানো হয় তাতে। কিন্তু কার্যত শূন্য হাতে ফিরতে হবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গ্রুপ লিডার সঞ্জু বর্মণের নেতৃত্বাধীন দল কার্যত তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়েও উদ্ধার করতে পারেনি গাঁজা। কিন্তু হাল ছাড়েননি তারা। সূত্রের খবরকে মান্যতা দিয়ে ফের চিরুনি তল্লাশি চালানো হয় গোটা লরিতে। দেখা যায়, লরি চালকের কেবিনের ঠিক উপরে তৈরি করা হয়েছে একটি চোরা কুঠুরি। সেই কুঠুরি খুলতেই বেরিয়ে আসে কুড়িটি গাঁজার বড় প্যাকেট। যার ওজন প্রায় ২ কুইন্টাল। এরপরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সমস্ত মাদক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় লরিতে থাকা চালক সহ মোট তিনজনকে।

বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, ত্রিপুরা থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে গাড়িটি যাচ্ছিল। আমাদের ফোর্স গাড়িটিকে আটক করে গোপন কুঠুরি থেকে গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। রবিবার তাদের আদালতে তোলা হবে।


প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি একটি অন্তরাজ্য মাদক পাচার চক্র। তবে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের মত সংলগ্ন দেশগুলিতেও এদের জাল ছড়িয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours