লালবাজার (Lal Bazar)থেকে ছাড়া হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি ছাড়া হয় বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহাকেও (Locket Chatterjee and Rahul Sinha)। এদিন আগে থেকেই গোলাপ, রজনীগন্ধার মালা নিয়ে প্রস্তুত ছিল দলীয় কর্মীরা। তাঁদেরকে ছাড়া হতেই এদিন মালা পরিয়ে দিলেন বিজেপি কর্মীরা।

নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhiyan) তোলপাড় হাওড়া-কলকাতা। অবস্থান বিক্ষোভের মাঝেই সুকান্তদেরকে প্রিজনভ্যানে তুলেছে পুলিশ। ইতিমধ্য়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, 'আমাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।' নবান্ন অভিযানের আগে শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করার প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভে নামে বিজেপি।লাঠিচার্জ করে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এহেন মুহূর্তে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্টে ধরা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari) বলেছেন, 'পুলিশকে বাধ্য করেছে রাস্তায় নামতে। এবং কিছু আইপিএস অফিসারদের দিয়ে, বিনা প্ররোচনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে পুলিশের উদ্দেশে বলেন, 'আপনার মাকে বলুন। লেডি কিমকে বলুন। এখন মেদিনীপুরে রয়েছেন। দেশকে দেখান। বাংলাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে ছেড়েছেন।' এরপরই রাহুল এবং লকেটদের প্রিজন ভ্য়ানে তোলে পুলিশ। এদিকে পুলিশের অন্য এক আধিকারিকের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু।

তিনি আরও বলেন, 'আপনার লেডি অফিসার আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ও কেন আমার গায়ে কেন হাত ধরবে! ছবিগুলো থাকল।' তাঁকে গ্রেফতার করা হোক, দাবি তোলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা, বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এখানেই শেষ নয়, এক মহিলা পুলিশ অফিসার এসে তাঁকে পিছু হটতে বলতেই ক্ষোভ উগরে দেন। মহিলা পুলিশ কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, প্রশ্ন তোলেন। শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, 'আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।' ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক বলতে থাকেন, 'আমি স্পর্শ করছি না। আপনি চলুন।'


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন, তাই বিজেপি-কে আটকাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন লকেট। তিনি লোকসভার সাংসদ, শুভেন্দু রাজ্য নিরাপত্তা কমিশনের সদস্য, বিধায়ক, সর্বোপরি বিরোধী দলনেতা, তাঁকে এ ভাবে আটকানোর অধিকার নেই বলে যুক্তি দেন তাঁরা। পুলিশ নিজের অবস্থানে অনড় থাকলে ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে থাকেন শুভেন্দু, লকেট এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তাতে পুলিশের আধিকারিকরা এগিয়ে এসে তাঁদের বিরত করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। তাতে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। প্রয়োজনে ট্রেন ধরে সাঁতরাগাছি হয়ে নবান্নে পৌঁছবেন বলে জানান
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours