মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে ৫১৭ দিনে পড়ল SSC SLST চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, জানালেন ২০১৬-র SSC চাকরিপ্রার্থীরা।

রেড রোডে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে SSC-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের যৌথ বিক্ষোভ। SSC-র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগের জন্য ২০১৬-য় বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরীক্ষা হয় ২০১৭ সালে। আদালতের অনুমতি নিয়ে এবার ধর্না-অবস্থান শুরু করলেন SSC-র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। এর পাশেই রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না-অবস্থান। ৩ দিন আগে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।

এদিকে, মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে ৫১৭ দিনে পড়ল SSC SLST চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, জানালেন ২০১৬-র SSC চাকরিপ্রার্থীরা। সিটু পরিচালিত কলকাতা অটো রিকশ অপারেটর্স ইউনিয়নের তরফে এদিন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়।  

কিছুদিন আগেই SSC চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে আশ্বাস মিললেও, নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত, আন্দোলন প্রত্যাহার করতে নারাজ এই চাকরিপ্রার্থীরা। মাঝে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা হয় তাঁদের। বৈঠকের পর আন্দোলনকারীদের তরফে শহীদুল্লাহ বলেন, বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) আশ্বাস দিয়েছেন যে সবার চাকরি হবে। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, মেধাতালিকায় থাকা সকলের চাকরি হতে হবে। সেইভাবেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। শহীদুল্লাহ বলেন, 'মেধাতালিকায় নাম থাকা একজনও যেন বঞ্চিত না হয়, আলোচনা সদর্থক হয়েছে। ৬০০০-এর মধ্যে ২১৫৯টি সিট তৈরি করা আছে'।


সেদিনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের সামনে, জড়ো হন ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণরা। যদিও তাঁদের টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তুলে দেয় পুলিশ। তার পরে কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে, তাঁর সঙ্গে দেখা করেন কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার কর্মপ্রার্থীরা। অন্যদিকে SSC’র SLST নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার!

প্রসঙ্গত, স্কুলে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরোয় ২০১৬ সালে। ২০১৮-তে হয় পরীক্ষা। বেশ কিছু প্রার্থীকে নিয়োগ করলেও, প্যানেলে থাকা সকলের নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আন্দোলনে নামেন নিয়োগপত্র না পাওয়া প্রার্থীরা। এর মধ্যে ৫ মে, কর্মশিক্ষায় ৭৫০টি এবং শারীরশিক্ষায় ৮৫০টি নতুন পদ সৃষ্টির বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, তারপর নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোয়নি! 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours