বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর উভয় এলাকার মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। জেলা ভাগ হলে সেই আবেগ ছিন্ন হবে, দাবি এলাকাবাসীর

সম্প্রতি রাজ্যে (West Bengal) নতুন আরও ৭টি জেলা রাজ্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই তালিকা অনুযায়ী বাঁকুড়ার (Bankura) জেলাকে ভাগ করে বিষ্ণুপুরকে (Bishnupur) আলাদা করা হয়েছে। সেই প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নেমে স্লোগান তুলে আন্দোলন শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। 

কী ঘটেছে? 

'বাঁকুড়া জেলা ভাগ মানছি না, মানব না', এই স্লোগান তুলে এবার রাস্তায় নেমে শুরু হয়েছে আন্দোলন। আজ বাঁকুড়া জেলা ভাগ প্রতিরোধ মঞ্চের ডাকে বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পরে তাঁরা জেলা ভাগের বিরোধীতা করে বাঁকুড়া শহরে মিছিল করে।    


জেলা প্রসঙ্গ

দিন কয়েক আগেই সারা রাজ্যের সাতটি জেলা ভাগের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘোষণায় মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়া জেলাকে ভেঙে পৃথক জেলা হিসাবে বিষ্ণুপুরের কথা ঘোষণা করেন। এরপরই এই ঘোষণাকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। বিষ্ণুপুরের একাংশের মানুষ প্রশাসনিক কাজের সুবিধার কারন দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে সমর্থন জানায়। অন্যদিকে জেলা ভাগের বিরোধীতায় নামে জেলাবাসীর একাংশ। 
এলাকাবাসীর দাবি

জেলা ভাগের বিরোধীতা করা জেলাবাসীর দাবী মা সারদা থেকে শুরু করে বিষ্ণুপুরের রাসমঞ্চ, দলমাদল কামান, যদুভট্ট যেমন বাঁকুড়ার গর্ব তেমনই এই জেলার শুশুনিয়া, মুকুটমনিপুর একসুতোয় বাঁধা। এগুলির সঙ্গে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর উভয় এলাকার মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। জেলা ভাগ হলে সেই আবেগ ছিন্ন হবে। জেলার মানুষের আবেগ ছিন্ন করার এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ না হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। 

সাম্প্রতিক প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে এমন কয়েকটি জেলা রয়েছে, যেগুলি আয়তনে বিরাট ৷ এই আয়তন সুষ্ঠু প্রশাসনিক কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ৷ যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে আমজনতাকে ৷ অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের জন্য দূরের শহরে যেতে হচ্ছে ৷ জেলা ভাগ করা হলে এই সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে বলেই মত মুখ্যমন্ত্রীর ৷
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours