রবিবার (৭ অগস্ট), পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির আবহেই নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে ফের মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কী কী প্রসঙ্গ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
: রবিবার (৭ অগস্ট), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নয়া দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের সপ্তম বৈঠকে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার অংশ না নিলেও অংশ নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির আবহেই ফের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কী কী প্রসঙ্গ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

সূত্রের খবর, নীতি আয়োগ বৈঠকে রাজ্যের স্বার্থে বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বরাবরের মতোই তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে সহযোগিতা আরও বেশি হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন কেন্দ্রের উচিত রাজ্যগুলির দাবিগুলিকে আরও গুরুত্ব সহকারে দেখা।

সাম্প্রতিককালে, কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গেই কেন্দ্রের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিজেপি বিরোধী দলগুলির শাসিত রাজ্যগুলিতে এই শিক্ষানীতির আকাদেমিক যোগ্যতা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে বিজেপি বিরোধী দলগুলির দাবি, জাতীয় শিক্ষা নীতি সংবিধানের সঙ্গে থে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিরোধী। এই অবস্থায় গত এপ্রিল মাসে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাফ জানিয়েছিলেন, বাংলায় জাতীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগ করা হবে না। বদলে রাজ্য নিজের পৃথক শিক্ষানীতি তৈরি করবে। এর জন্য, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, সুগত বসু, সুরঞ্জন দাস, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি প্রমুখ মোট ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির এক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এদিন, নীতি আয়োগের বৈঠকে এই বিষয়টিও তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে তিনি সাফ জানিয়েছেন, রাজ্যগুলির উপর জোর করে জাতীয় শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।

এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিলেও, ছিলেন না কেসিআর এবং নীতীশ কুমার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি দিয়ে কেসিআর লেখেন, তেলেঙ্গানা-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বৈষম্যের প্রতিবাদেই তিনি বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে, নীতীশ কুমার সদ্য কোভিড-মুক্ত হয়েছেন। তবে, এর আগে গত মাসেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া আরও একটি বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর কোনও অসুস্থতা ছিল না। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শেষবার সরাসরি রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতা-নেত্রীদের উপস্থিতিতে নীতি আয়োগের বৈঠক হয়েছিল। তারপর থেকে গত তিন বছরে নীতি আয়োগের বৈঠকগুলি হয়েছিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours