মনে করা হচ্ছে, নীতীশের দল জেডিইউ থেকে নরেন্দ্র নারায়ণ যাদব নতুন করে বিহার বিধানসভার স্পিকার পদে শপথ নেবেন এবং তাঁর নেতৃত্বে আগামিকাল বিধানসভায় আস্থা ভোট হবে

সদ্য বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি, কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির হাত ধরে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার। শপথ নিয়েই বিধানসভার ২৪ ও ২৫ অগস্ট, দু’দিনের বিশেষ অধিবেশের ডাক দিয়েছিল ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার। আস্থা ভোটের মাধ্যমে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের পাশাপাশি বিজেপির নির্বাচত বিধায়ক ভিকে সিনহাকে বিধানসভার স্পিকার পদ থেকে অপসারণই ছিল এই অধিবেশনের প্রধান লক্ষ্য। এমনকী স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনা হয়েছিল। অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটাভুটি হওয়ার আগেই বিধানসভার স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপি নেতা ভিকে সিনহা। ইস্তফা দেওয়ার পর সিনহা জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ৯টি চিঠির মধ্যে ৮টি চিঠিই ‘অস্পষ্ট’ এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে সেই প্রস্তাবগুলি আনা হয়েছে। কিন্তু তাসত্ত্বেও তিনি স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ইস্তফা দিয়ে সিনহা বলেন, “স্পিকারের চেয়ার পঞ্চ পরমেশ্বরের মতো। এই পদ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আপনি কী বার্তা দিতে চান? জনগন সিদ্ধান্ত নেবে।”


মনে করা হচ্ছে, নীতীশের দল জেডিইউ থেকে নরেন্দ্র নারায়ণ যাদব নতুন করে বিহার বিধানসভার স্পিকার পদে শপথ নেবেন এবং তাঁর নেতৃত্বে আগামিকাল বিধানসভায় আস্থা ভোট হবে। ভিকে সিনহার ইস্তফার পর বিধানসভার অধিবেশন বেলা ২টি অবধি মুলতবি করে দেওয়া হয়েছে।

তবে গতকালই স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়া নিয়ে অনড় মনোভাব দেখিয়েছিলেন ভিকে সিনহা। তিনি বলেছিলেন, “বিধানসভার সচিবালয়ে যে নোটিস জমা দেওয়া হয়েছে তাতে নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে। সেই কারণে বিধানসভার স্পিকার হিসেবে আমার দায়িত্ব এই ধরনের নোটিসকে প্রত্যাখ্যান করা।” কিন্তু এদিন সকালে তিনি বিধানসভায় জানিয়েছেন, “নোটিসে সাড়া দেওয়া আমার দায়িত্ব। বিধানসভার কয়েকজন সদস্য যাঁরা এই প্রস্তাব এনেছেন, তাদের অভিযোগ আমি অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী। এটা কোনওভাবেই আমি মেনে নিতে পারছি না।”

সিনহার বক্তব্যের আগে পটনার বিধানসভা ভবনে, দুই শিবিরের বিধায়করা একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। বিহারের শাসক শিবিরের বিধায়কদের অভিযোগ, তাদেরকে ভয় পাওয়ানোর জন্য নতুন করে অভিযান শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার সকালের নীতীশের নতুন জোটসঙ্গী ৩ আরজেডি নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। জমি ও চাকরি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার এই অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবারের আস্থা ভোটে কী হয়, সেটাই এখন দেখার।



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours