তাঁকে নিয়ে আলোচনা, সমালোচনার অন্ত নেই। সীমিত ওভারের ফরম্যাট থেকে বিরাট কোহলিকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠছে চারিদিকে। তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। চূড়ান্ত অফ ফর্মে থাকা প্রাক্তন অধিনায়ককে কেন বয়ে বেড়াচ্ছে বোর্ড? সমর্থকদের সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দিলেন প্রাক্তন ইংরেজ স্পিনার।
তিনবছর ধরে বড় রানের মধ্যে নেই। সমর্থকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সেদিনটার জন্য যেদিন হেলমেট নামিয়ে, হাত দুটিকে দুপাশে প্রসারিত করবেন, আকাশপানে তুলে ধরবেন ব্যাট। সঙ্গে শতরান উদযাপনের গর্জন। খারাপ সময় কাটিয়ে একদিন রানে ফিরবেন ঠিকই। কিন্তু ততদিনে সমর্থকদের আশা, ভরসা কি হারিয়ে ফেলবেন না? ২০১৯ সালে নভেম্বরে শেষবার আন্তর্জাতিক শতরান এসেছিল বিরাটের ব্যাটে। এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টে কোহলির কামব্যাকের প্রত্যাশা ছিল। অনুরাগীদের হতাশ করে সেবারও ব্যাট উঁচিয়ে ধরতে ব্যর্থ হন। প্রথম ইনিংসে ১১, দ্বিতীয় ইনিংসে ২০। ফর্ম নিয়ে বিরাট চর্চা চলছে কিছুদিন ধরেই। জাতীয় দলে একটা সুযোগ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে প্রতিভাবান ব্যাটাররা। সেখানে শুধুমাত্র তারকা ইমেজের জেরে কেন অফ ফর্মে থাকা বিরাট বারবার সুযোগ পাবেন? কপিল দেব, বীরেন্দ্র সেওয়াগের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারদের প্রশ্নে জর্জরিত ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। কেন বিরাটকে বয়ে বেড়ানো হচ্ছে, উত্তর নেই সৌরভ-জয় শাহদের কাছে।

ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্পিনার মন্টি পানেসর এর নেপথ্যের কারণ খুঁজে পেয়েছেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পানেসর বলেন, “সমস্যাটা হচ্ছে বিরাট কোহলি এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বিপণনযোগ্য ক্রিকেটার। ফলে আর্থিক দিক থেকে দেখতে হলে বিরাটকে প্রয়োজন বোর্ডের। ফর্ম থাকুক বা নাই থাকুক, মাঠে বিরাটকে ব্যাট করতে দেখতে চাই সকলে। ক্রিকেট সমর্থকরা তাঁকে খুব ভালোবাসে। তাই বিরাট বাদ পড়লে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় টান পড়তে পারে। বিরাট অনেকটা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো। রোনাল্ডো যে টুর্নামেন্টেই খেলুক, আমরা দেখতে বসে যাই। টাইগার উডস কোনও প্রতিযোগিতায় খেললে আমাদের আগ্রহ বেড়ে যায়। জিতবে না হারবে তা বড় বিষয় নয়। বিরাটের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আর্থিক দিক বাদ দিলে বিরাট কোহলিকে কি সত্যিই ভারতীয় দলের প্রয়োজন? নির্বাচকদের সঙ্গে বসে এই প্রশ্নের উত্তর বোর্ডকে ভেবে দেখতে হবে। তারপর টি-২০ বিশ্বকাপ, ওয়ান ডে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট থেকে আর্থিক লাভের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা, মাঠে বিরাট কোহলির ভূমিকায় বোর্ড কি স্পনসরদের সন্তুষ্ট রাখতে পারছে? এদিকে বিরাটকে বাদ দিতেও পারছে না। তাতে হয়তো বোর্ডের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা কমে যাবে। বিরাট খেলা মানেই ভর্তি স্টেডিয়াম।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours