এসএসকেএম সূত্রে খবর, কার্ডিওলজিস্ট তুষার পাত্রের নেতৃত্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
প্রায় ২৭ ঘণ্টা! লাগাতার ম্যারাথন জেরার পর শেষমেশ শনিবার গ্রেফতার রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে গ্রেফতারির আগে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করার কারণে এসএসকেএম (SSKM) থেকে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল এসে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। আদালতের নির্দেশ মেনে আগামিকাল মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা মেডিক্যাল ওই বোর্ডের।

শিল্পমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা কেমন?

এসএসকেএম সূত্রে খবর, কার্ডিওলজিস্ট তুষার পাত্রের নেতৃত্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও মেডিক্যাল বোর্ডে নেফ্রোলজি, চেস্ট, মেডিসিন, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকেরা রয়েছেন। জানা গিয়েছে, পার্থবাবুর হাঁটুতে ব্যথা রয়েছে। সেই কারণেই অর্থোপেডিকের বন্দ্যোবস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের জন্য রয়েছেন এন্ডোক্রিনোলজি।

এস‌এসকেএম সূত্রের খবর, মন্ত্রীর হার্টে ব্লক রয়েছে। প্রধানত সেই বিষয়টিরই চিকিৎসা চলছে। পাশাপাশি, ক্রনিক কিডনি ডিজিজের রোগী হ‌ওয়ায় ক্রিয়েটিনিন, ইউরিনের পরীক্ষা হবে। কিডনির অসুখের কারণে মন্ত্রীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রায় কমে যায়। হিমোগ্লোবিনের পাশাপাশি রক্তের অন্যান্য পরীক্ষা করার জন্য সকালে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শনিবার রাত্রিবেলা ইসিজি, ইকো হয়ে গিয়েছে।

আগামীদিনে ট্রপ-টি, স্লিপ অ্যাপনিয়া সংক্রান্ত পরীক্ষা করার‌ও পরিকল্পনা রয়েছে চিকিৎসকদের। সব মিলিয়ে চিকিৎসকের রিপোর্টে মন্ত্রীকে এখন কয়েকদিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা প্রয়োজন বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হতে পারে বলে এস‌এসকেএম সূত্রের খবর।

কোন কেবিনে ভর্তি পার্থ?

হাসপাতাল সূত্রে খবর, এসএসকেএম-এর এসি-ওয়ান কেবিন। এইখানে ভর্তি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর আগে আইসিইউ (ICU)-তে ভর্তি ছিলেন। তাঁর বেড নম্বর ছিল ১৮। জানা গিয়েছে, সেখানে মন্ত্রীর পাশাপাশি অন্যান্য রোগীরাও ভর্তি রয়েছেন।

আইসিইউ ১৮ নম্বর বেড সিস্টার টেবিলের একেবারে উল্টোদিকে ঘরের মাঝামাঝি অবস্থানে আরও একটি ঘর। আইসিইউ একটা হল ঘরের মতো। দরজা দিয়ে ঢুকেই চিকিৎসকদের ঘর। এরপর দুদিকে রোগীদের বেড। মাঝামাঝি জায়গায় সিস্টার টেবিল। তার উল্টোদিকে পার্থবাবুকে প্রথমে রাখা হয়েছিল। আইসিইউ ঘরের অন্য প্রান্তে একটা পার্টিসন দিয়ে রোগী রাখার জায়গা রয়েছে। সেখানে অন্তত চারজন রোগীকে রাখা সম্ভব। নিরাপত্তাজনিত কারণের পাশাপাশি সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়াতে মন্ত্রীকে এসি-ওয়ান কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বলে বক্তব্য এস‌এসকেএম কর্তৃপক্ষের। আপাতত, এসি-ওয়ান কেবিনে মন্ত্রী একাই রয়েছেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours