উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতেই বিরোধী ঐক্য নিয়ে মমতার আগ্রহ প্রশ্নচিহ্নের মুখে। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিরোধীরাও।

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেবে না তৃণমূল কংগ্রেস। একুশে জুলাইয়ের সভা শেষে তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা। এমনকী বিরোধী ঐক্য নিয়ে মমতার (CM Mamata Banerjee) আগ্রহ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ না করা নিয়ে রাজ্য়ের বিরোধীরাও মমতার বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালেন।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিংয়ে ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বন্যা কবলিম অসম ছেড়ে সে রাজ্য থেকে উড়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। দিদি কলকাতা থেকে উড়ে গেলেন দার্জিলিংয়ে। আর তারপরেই ধনখড়রে নাম প্রস্তাবিত হল এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসাবে। এদিকে এর বিরোধী শিবিরের তরফে শরদ পাওয়ারের বাড়িতে সর্বদল বৈঠক ডাকা হল। সেখানে অনুপস্থিত দিদির দলের লোকেরা। এখন বলছে ভোটেই অংশগ্রহণ করবে না। তার মানে তো আসলে ধরনখড়কে সাহায্য করব। এটা আর এক দার্জিলিং চুক্তি।”
চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “৫ দিন পর তৃণমূল কংগ্রেস জানাল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারা কোনও পক্ষে থাকবে না। থলের বিড়ালটি বেরিয়ে পড়ল। দার্জিংয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে ধনখড়ের পাশে বসে কিসের ডিল হল? ডিলের একটা অংশ বোঝা গেল কয়লা পাচারের প্রাথমিক চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেই। উল্টে বিজেপিকে প্রকারন্তরে সাহায্য করতে হবে। বিরোধীদের মধ্যে বিরোধীদের ভাঙিয়ে দিতে হবে। আর সেই কারণেই বিজেপি বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করার হিম্মত মমতা দেখাতে পারলেন না।” অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের সঙ্গে কোনও সমঝোতার গল্প নেই। এদিকেও থাকবেন না, ওদিকেও থাকবেন না। মাঝখানে থাকবেন।হারর ভয় তো সবার থাকে। তাই ভোট দেবে না।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours