ওই চা বাগান মালিক এরপরই রামশাই রেঞ্জ অফিসে খবর দেন। একইসঙ্গে খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠনকেও। জনা দশেক বনকর্মী ও পরিবেশ কর্মী এসে প্রায় দু'ঘণ্টার চেষ্টা অজগরটিকে ধরে।

বাগান মালিক হঠাৎই শুনতে পান চা বাগানে একটি ছাগল তারস্বরে চেঁচিয়ে চলেছে। মনে হয়েছিল, কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। ছুটে গিয়ে দেখেন ভয়ঙ্কর অবস্থা ছাগলটির। একটি ২০ ফুট লম্বা অজগর কব্জা করেছে তাকে। সোমবার বিকেলে ময়নাগুড়ি রামশাই এলাকার কালীপুর গ্রামের একটি চা বাগানে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। অজগরটি রীতিমতো পেঁচিয়ে ধরে ওই ছাগলটিকে। আর সেই ফাঁস থেকে রক্ষা পেতেই প্রাণপণে চেঁচিয়ে চলে ছাগল। ছাগলটির চিৎকার শুনে আরও আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর যায় বনবস্তিতে। সেখান থেকেই বাসিন্দারা দৌড়ে আসেন।

ওই চা বাগান মালিক এরপরই রামশাই রেঞ্জ অফিসে খবর দেন। একইসঙ্গে খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠনকেও। জনা দশেক বনকর্মী ও পরিবেশ কর্মী এসে প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টা অজগরটিকে ধরে। পরিবেশ কর্মী নন্দু রায় বলেন, “রামশাই কালীপুর বনবস্তিতে অজগর একটা ছাগল ধরে। সেই বাগানের মালিক ছাগলটির চিৎকার শুনে ছুটে যান। দেখেন একটি বড় অজগর সেই ছাগলটিকে পেঁচিয়ে ধরে আছে। সঙ্গে সঙ্গে রামশাই রেঞ্জে খবর দেয়। রামসাই রেঞ্জ থেকেই আমাদের কাছে খবর দেওয়া হয়। আমরা যাই। সাপটিকে উদ্ধার করা হয়। ২০ ফুটের উপরে লম্বা অজগরটি। বার্মিজ পাইথন প্রজাতিরই হবে।” তিনি জানান, সুস্থ অবস্থাতেই অজগরটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ধরনের ঘটনা ইদানিং ঘটছে। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের গভীর জঙ্গলে বেশ কিছু বড় অজগর রয়েছে ঠিকই। তবে তারা বেরিয়ে আসে, এমন ঘটনা খুবই কম দেখা গিয়েছে অতীতে। কয়েকদিন ধরে এক্ষেত্রে উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে। গত মাসে জলঢাকা নদীর ধারে বিরাট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার হয়েছিল। সোমবার আবার এতবড় মাপের অজগর সাপ দেখা গেল। কেন জঙ্গল ছেড়ে বারবার লোকালয়মুখী এই অজগর, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পরিবেশ কর্মীরা।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours