এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার, তল্লাশি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতেই পারে ইডি। ইডি-র ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা সব আবেদন এদিন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
কোনও আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার, তল্লাশি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতেই পারে ইডি (Enforcement Directorate)। বুধবার এই মর্মেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। পিএমএলএ (Prevention of Money Laundering Act) আইনের অন্তর্গত ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। এদিন সেসব মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। কোনও আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি, গ্রেফতারির মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার ছাড়পত্র ইডিকে দেওয়া হল।

এদিন বিচারপতি এএম খানউলকারের বেঞ্চ এক কথায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাত আরও শক্ত করল। উল্লেখ্য, ইডি-র ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। আবেদনকারীরা প্রশ্ন করেছিলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারির কোনও কারণ না জানিয়ে বা প্রমাণ না দেখিয়ে গ্রেফতার করা অসাংবিধানিক। এদিন সুপ্রিম কোর্ট আবেদনকারীদের এই বিবাদ খারিজ করে দিয়েছেন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ECIR (Enforcement Case Information Report) অভিযুক্তকে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ এটি তদন্তকারী সংস্থার একটি অভ্যন্তরীণ নথি।

আবেদনকারীরা সওয়াল তুলেছিলেন যে, অভিযুক্তদের উপর প্রমাণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ায় সমতার অধিকার ও জীবনের অধিকারের মতো মৌলিক অধিকারগুলি ক্ষুণ্ণ হয়। কেন্দ্রের পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আবেদনকারীর এই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, আর্থিক দুর্নীতির গভীরতার উপর নির্ভর করে এবং এই দুর্নীতি রোধ করার জন্য অভিযুক্তের উপর প্রমাণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া ন্য়ায়সঙ্গত। আবেদনকারীদের তরফে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, ২০০২ সালের আগে ঘটে যাওয়া কোনও আর্থিক দুর্নীতি মামলায় পিএমএল-র আওতায় দোষী সাব্যস্ত করা। কারণ ২০০২ সালে এই পিএমএলএ কার্যকর হয়েছিল। আবেদনকারীদের এই প্রশ্নে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ২০০২ সালের আগে হয়ত আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারেন। তবে সেই আর্থিক দুর্নীতির থেকে প্রাপ্ত অর্থ হয়ত তিনি ২০০২ সালের পরেও নিজের সিন্দুকে রেখেছেন। আবেদনকারীর এইসব চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দিয়ে কেন্দ্রকেই সমর্থন জানাল সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে কেন্দ্রের তরফে পিএমএলএ-র সাংবিধানিক বৈধতার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছে। পিএমএলএ-র সংশোধনের পক্ষে সওয়াল করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি শুধুমাত্র দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলে না, দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের জন্য এটি ক্ষতিকারক। কারণ শুধুমাত্র বিজয় মাল্য বা নীরব মোদীর মতো বড় বড় ব্যবসায়ীরাই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন, এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীরাও যুক্ত থাকে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours