সূত্রের খবর, গত শনিবার (২৩ জুলাই) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তদন্তকারীরা পান।
সময় যত এগোচ্ছে ততই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়ালেন ময়নাগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে অনন্তদেবের সুপারিশ করা নথি উদ্ধার হয়েছে। যদিও অনন্তদেব এমনটা ঘটার সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি করেছেন। বরং তাঁর দাবি, পার্থই তাঁর কাছে পাঁচটি নাম সুপারিশ করতে বলেছিলেন। একইসঙ্গে অনন্তদেবের বক্তব্য, তাঁর সুপারিশ তালিকার কেউই চাকরি পাননি। নিঃসন্দেহে অনন্তদেবের বক্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, গত শনিবার (২৩ জুলাই) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তদন্তকারীরা পান। এরমধ্যে ময়নাগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর প্যাডে পাঁচজনের নামের সুপারিশ নজরে আসে। সূত্রের দাবি, সেই নামগুলি এসএসসি-এর গ্রুপ ডি পদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে সেই সুপারিশ করা হয় বলেও সূত্রের খবর। সুপারিশের বিষয়টি অনন্তদেব স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমরা যারা বিধায়ক, তাদের উনি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে নির্দেশ দেন পাঁচটা করে নাম পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। সেইমতো আমরা পাঁচটা করে নাম পাঠিয়ে দিই। কারও চাকরি হয়েছে বলে আমার জানা নেই।”

অনন্তদেবের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ সূত্র মারফত উঠে এসেছে। তিনি নাকি ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ৪৮ জনের রোল নম্বর সংক্রান্ত অনন্তদেব অধিকারীর একটি সুপারিশ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। বলেন, “এই অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। উচ্চ প্রাথমিকের ৪৮ জন প্রার্থী কোনওদিনই আমার কাছে আসেননি।”
২০১১ সালে ময়নাগুড়ির বিধায়ক হন অনন্তদেব অধিকারী। সে সময় অবশ্য আরএসপির টিকিটে জয়ী হন তিনি। পরে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০২১-এর ভোটে তৃণমূল তাঁকে টিকিটও দেয়। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে যান। আপাতত অনন্তদেব ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours