দশ হাজার টাকা হাতে দিলেই সীমান্ত পেরিয়ে এ রাজ্যে ঢুকে পড়ছে কোটি কোটি টাকার সোনা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেলেন বিএসএফ- এর সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের কর্তারা। আর তাতেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আরও কড়া নজরদারির নির্দেশ জারি।

সোমবার সকালে ১৭৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের এক কর্তার কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, মোটা অঙ্কের টাকার সোনা ঢুকছে সীমান্ত পেরিয়ে।শুধু তাই নয়, যখন খবর আসে, ততক্ষণে বাংলাদেশ থেকে অনেক লরি রপ্তানি সেরে ফিরেছে এ দেশে। তাহলে কি পাচারকারী হাতছাড়া হল?


বিলম্ব না করেই বিএসএফ জওয়ানরা আইসিপি পেট্রাপোল প্যাসেঞ্জার গেটের কাছে বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন। তল্লাশি শুরুর পর হরিয়ানার একটি লরির চালকের সঙ্গে কথা বলে জওয়ানদের সন্দেহ হয়। গাড়ি থেকে ওই চালককে নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। চালকের আসনের পিছনের অংশে কালো কাপড়ে মোড়া অবস্থায় একটি প্যাকেট বেরিয়ে আসে। আর ওই প্যাকেট খুলতেই মেলে ৭০টি সোনার বিস্কুট ও তিনটি সোনার বার। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছ'কোটি টাকা।চালককে গ্রেফতার করে শুরু হয় জেরা।


বিএসএফ সূত্রে খবর, বনগাঁর জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় লরি চালক রাজ মণ্ডল এ দিন বাংলাদেশের বেনাপোলে সামগ্রী রপ্তানি করে ফেরার সময় সাহাবুদ্দিন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি রাজকে বলেন পিন্টু নামে এক ব্যক্তি একটি প্যাকেট দেবেন। সেই প্যাকেট পৌঁছে দিতে হবে বনগাঁ-চাকদহ শেফালি ট্রাক পার্কিংয়ে। বিনিময়ে দশ হাজার টাকার রফা হয়েছে বলে বিএসএফ- এর জেরায় দাবি করেছে ধৃত রাজ।


এরপর ধৃত ওই প্যাকেট নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢোকে। ধরা পড়ে সীমান্ত রক্ষীদের হাতে। ডিআইজি বিএসএফ সুরজিত্‍ সিং গুলেরিয়া জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময় খবর এসেছিল। আমাদের জওয়ানরা অভিযান চালিয়ে লরি চালককে গ্রেফতার করেছেন। সোনা উদ্ধারের পর শুল্ক দফতরকে তুলে দেওয়া হয়েছে।


এই ভাবে টাকা টোপ দিয়ে ওপার বাংলা থেকে সোনা পাচারের যে কারবার চলছে, তা ভাবাচ্ছে বিএসএফ কর্তাদের।শুধু ১৭৯ ব্যাটেলিয়ন নয়, এদিন জয়ন্তীপুরেও ১৫৮ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা তল্লাশি চালানোর সময় একটি বাইক থেকে সোনা উদ্ধার করেছেন। একই সঙ্গে উঠে এসেছে চোরাকারবারীর মূল পাণ্ডাদের নামও।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours