হামিদের বাড়ি মাধবডিহির আরুই পঞ্চায়েতের আরিফপুর গ্রামে। রায়না ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি শেখ কলিমুদ্দিন ওরফে বাপ্পা জানিয়েছেন, মাধবডিহির ছোট বৈনান বাজারে হামিদ আলি খানের একটি কাপড়ের দোকান ও হোলসেল লটারি টিকিটের দোকান রয়েছে।

দুষ্কৃতীদের (Miscreants) গুলিতে (Shootout) মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর (Businessman)।সেই সময় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁর থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মাধবডিহি থানার ছোট বৈনানের ছাতা দিঘিরকোন এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


হামিদের বাড়ি মাধবডিহির আরুই পঞ্চায়েতের আরিফপুর গ্রামে। রায়না ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি শেখ কলিমুদ্দিন ওরফে বাপ্পা জানিয়েছেন, মাধবডিহির ছোট বৈনান বাজারে হামিদ আলি খানের একটি কাপড়ের দোকান ও হোলসেল লটারি টিকিটের দোকান রয়েছে। প্রতি দিন রাত ১০টা নাগাদ বাইকে করে বাড়ি ফিরতেন তিনি। গতকাল রাতেও ওই একই সময় তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। ব্যবসার টাকার ছিল তাঁর সঙ্গেই। একটি ব্যাগে করে সেই টাকা নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। ব্যাগে ২ লক্ষর মতো টাকা ছিল।


অভিযোগ, পথে মাধবডিহির ছোট দিঘিরকোন এলাকায় তিন জন দুষ্কৃতী হামিদের রাস্তা আটকেছিল। বাইকে চেপে এসেছিল তারা। এরপর তাঁর কাছ থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা। হামিদ বাধা দিলে দুষ্কৃতীরা তাঁর কোমরে গুলি চালায়। তখনই রক্তাত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন হামিদ। তখনই সুযোগ বুঝে দুষ্কৃতীরা হামিদের কাছ থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশের অনুমান, এই খুনের ঘটনা পূর্ব-পরিকল্পিত। কারণ ব্যবসায়ী হামিদ আলি খান যে রোজ একই পথে বাড়ি ফিরতেন, তা রেইকি করে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তারপর মঙ্গলবার রাতে এই অভিযান চালানো হয়।এদিকে গুলির আওয়াজন পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সময় হামিদকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাই খবর দেন মাধবডিহি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে পুলিশ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরই হামিদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিত্‍সকরা। শেখ কলিমুদ্দিন বলেন, "লটারিতে মোটা টাকা পান হামিদ। সেই টাকা হামিদের ব্যাগে আছে এমনটা মনে করেই হয়তো সশস্ত্র দুষ্কতীরা তাঁর উপর চড়াও হয়েছিল।" এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দুষ্কৃতীদের সন্ধানে রাতেই মাধবডিহি সহ আশপাশের সব থানা এলাকার বিভিন্ন সড়কপথে পুলিশি তত্‍পরতা শুরু হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হয়নি।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours