রাজ্য জুড়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তাঁর জেরে বন্ধ হচ্ছে জেলায় জেলায় বিভিন্ন বাজারহাটগুলি। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, কোভিড বিধিতে শিথিলতার কোনো জায়গা নেই। এমন অবস্থায় করোনা পরিস্থিতিতে চড়ুইভাতির অংশ হয়ে বেশ সমস্যায় পড়লেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের ১ নম্বর ব্লকের বিডিও।

সংক্রমনের নিরিখে এই ব্লকটিও পিছিয়ে নেই। বেশ কয়েকদিন পূর্বে খোদ বিডিও নিজে লকডাউনের ঘোষণা করেছেন এখানে। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর উপেক্ষা করে মত্ত হয়েছেন চড়ুইভাতিতে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভের মুখে পড়েছেন স্থানীয় বিডিও ফতেমা কাওসার।

বিডিওর এহেন আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা। সুফল ঘাঁটু নামে ওই স্থানীয় বিজেপি নেতা জানান, আইন এবং বিধি-নিষেধ সকলের জন্য সমান হওয়া উচিত। সাধারণ মানুষের যদি নিয়ম ভাঙ্গার জন্য শাস্তি হয় তবে বিডিও নিজেই নিয়ম করে নিজেই ভেঙেছেন। তাহলে তাঁরও একই শাস্তি হওয়া উচিত। যদিও এই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কিত হয়েছেন বিডিও ফতেমা কাওসার। কিন্তু তিনি নিজে এমন বিধি ভঙ্গের পদক্ষেপ কেন নিলেন সে বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেননি।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে বন্ধ হয়েছে সমস্ত দোকানপাট, বাজার এবং অনুষ্ঠান। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য এই সকল নিয়ম গুলিকে তৈরি করে বিডিও কেন নিজে নিয়ম ভাঙতে চললেন? জানা যায় ,সেদিন ওই চড়ুইভাতি তে উপস্থিত ছিল প্রায় ১০০ জনেরও বেশি লোক। তাদের মধ্যে বিডিও অফিসের আধিকারিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিল বলেও জানা যায়। যেখানে গত ১৮ই জানুয়ারি থেকে উস্তি সহ আরও আটটি এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে শনি-রবিবার লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে দৈনন্দিন জীবনে এই লকডাউন এর জন্য বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা আরও আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। তবে সকল বিধিনিষেধ কি শুধুমাত্র সাধারণ জনগণের জন্যই?


প্রথম কলকাতা 

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours