দ্য ওয়াল ব্যুরো

মুম্বইয়ের সাকিনাকায় (sakinaka rape) দিনকয়েক আগের নারকীয় ধর্ষণে নির্যাতিতার মৃত্যুর পর ময়না তদন্তে উঠে এল মারাত্মক তথ্য। ৩২ বছরের মহিলা ৩৬ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শনিবার মারা যান। একটি পার্ক করে রাখা টেম্পোয় তুলে তাঁকে ধর্ষণ করে তার চালক (tempo driver)। কয়েকটি সূত্রের দাবি, টেম্পোচালক মহিলার পরিচিত। কিন্তু যা-ই হোক, ধর্ষণকারী টেম্পোচালক যে নৃশংসতার (criminal nature) ছাপ রেখে গিয়েছে অপরাধে, সচরাচর তার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। সে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ধারালো রড জাতীয় কোনও বস্তু এত জোরে ঢুকিয়েছিল যে, সেটি গোপনাঙ্গ (vagina) ছিন্নভিন্ন করে মহিলার তলপেটের(abdomen) ভিতরে চলে গিয়েছিল! বিশেষজ্ঞদের একজন জানিয়েছেন, আঘাতজনিত জটিলতার ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এহেন নারকীয় নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে মহারাষ্ট্র সরকারের ওপর জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন চাপ দিচ্ছে, যাতে এই মামলায় বাড়তি ধারা যোগ করা হয়। সেইমতো রবিবার পুলিশ তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের ধারা মামলায় যোগ করেছে। কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেছেন, এর ফলে নির্যাতিতার পরিবার অবিলম্বে ৪.২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাবে। আমরা পুলিশ ও রাজ্য সমাজ কল্যাণ দপ্তরের সদস্যদের উপস্থিতিতে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। পুলিশ আদালতে চার্জশিট জমা দিলেও নির্যাতিতার পরিবার সম পরিমাণ অর্থের ক্ষতিপূরণ পাবে বলে জানান তিনি। তাছাড়া তফসিলি জাতি আইনে নির্যাতিতার সব বাচ্চার পড়াশোনার ব্যয়ভার বহন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আইনি বয়স হলে তাদের অন্ততঃ একজনের সরকারি চাকরি ও তাদের বাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা সরকারের, জানান তিনি। নির্যাতিতার নাবালক সন্তানদের অবিলম্বে সরকারি সুরক্ষায় রাখার দাবি করেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদল। এদিকে জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি দল মুম্বই পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করে দাবি করেছে, তিনি যাতে রাতে পাহারাদারি আরও মজবুত করার নির্দেশ দেন। রাতে বিপদে পড়া পথবাসী মহিলাদের নিরাপদে সরানোর একটা মেকানিজম থাকুক। কমিশন সদস্য চন্দ্রমুখী দেবী বলেন, পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে অপরাধীদের মন থেকে ভয় চলে গিয়েছে। এই অপরাধ তারই প্রমাণ। রাজ্য মহিলা কমিশনে সদস্য নিয়োগ করতে হবে অগ্রাধিকার দিয়ে যাতে তারা নির্যাতিতার পরিবারকে নির্ভয়া তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় সাহায্য করতে পারেন। চন্দ্রমুখী বলেন, হাসপাতালের ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, সাকিনাকার ঘটনাটি নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের মতোই। মহিলার সামাজিক প্রেক্ষাপট এখানে অপ্রাসঙ্গিক। প্রতিটি মহিলার নিরাপত্তার অধিকার আছে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours