বরাবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টার থেকে চিকিত্‍সকের পচা-গলা দেহ উদ্ধার। ঘটনায় স্বামীকেই সন্দেহ করছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, স্ত্রীকে খুন করে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান পুলিশের।শুক্রবার সন্ধ্যায় ডা. সুচিত্রা সিংয়ের (৩৮) পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বরাবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন সুচিত্রা সিং। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে অনুপস্থিত ছিলেন ওই চিকিত্‍সক। আবাসনের দরজা ছিল তালা বন্ধ। নাগো আবাসনে থাকা অন্যান্য সহকর্মীরা ভেবেছিলেন তিনি ছুটিতে গিয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে ওই আবাসনের পাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর দুর্গন্ধ আরও বেড়ে যায়। তারপরে খবর দেওয়া হয় বরাবাজার থানার পুলিশকে। পরে পুলিশ কোয়ার্টারে তালা ভাঙে। ভিতরে ঢুকে প্লাস্টিকে মোড়া মৃতদেহ দেখতে পান পুলিশকর্মীরা।

চিকিত্‍সকের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বরাবাজার থানার পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি খুনের ঘটনা। বেশ কয়েক বছর ধরে ওই মেডিক্যাল অফিসার তাঁর চার বছরের মেয়েকে নিয়ে ওই আবাসনে থাকতেন। গত রবিবার তাঁর স্বামী ওই আবাসনে আসেন। সেই সময় দু'জনের মধ্যে ঝামেলা হয়। স্বামী-স্ত্রী'র কথা কাটাকাটির আভাস পান প্রতিবেশীরা। বরাবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক রবীন সরেন বলেন, 'সোমবার সন্ধ্যায় আমার ওই সহকর্মী ও তাঁর পরিবারকে শেষবারের জন্য কোয়ার্টারে দেখেছিলাম। তারপর আর দেখা হয়নি। ওই দিন দুর্গাপুরে চিকিত্‍সকের একটি পরীক্ষা ছিল।' মনে করা হচ্ছে, সেদিনই চিকিত্‍সককে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি স্বামীর পরকীয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সুচিত্রা সিং। এ নিয়ে প্রায়দিনই তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত।

বরাবাজার থানার পুলিশের পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তের এদিন ঘটনাস্থলে আসেন মানবাজার থানার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল পাণ্ডে। পুলিশের অনুমান, আততায়ী ওই চিকিত্‍সককে 'খুন' করে প্লাস্টিকে মুড়ে রেখে পালিয়ে যায়। সন্দেহের তীর চিকিত্‍সকের স্বামীর দিকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আবাসনে তালা লাগিয়ে স্বামী তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। ফলে তার স্বামীর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours