কয়েকদিন ধরেই কোলাঘাটের একাধিক গ্রামে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে কয়েকটি হনুমান। পবনপুত্রের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। গত কয়েক দিনে ২৫ জনেরও বেশি মানুষকে কামড়েছে হনুমান। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরোতেই ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। হনুমান ধরার দাবিতে সোমবার সকাল থেকে পথ অবরোধ করেন এলাকাবাসী। শেষমেশ ফাঁদ পেতে একটি হনুমানকে ধরে ফেলেন বনকর্মীরা। এলাকায় আরও কয়েকটি হনুমান ঘুরছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।
হনুমানের হানায় ঘুম ছুটেছে কোলাঘাটের কুমারহাট গ্রামের বাসিন্দাদের। শুধু এই গ্রামেই নয়, পার্শ্ববর্তী ধর্মবেড়, পয়াগ, যোগীবেড় গ্রামেও তাণ্ডব চালাচ্ছে পবনপুত্রের দল। কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকটি হনুমান এলাকায় ঘুরছে। পথচলতি কাউকে দেখলেই অতর্কিতে হামলা চালাচ্ছে হনুমান। আঁচড়ে, কামড়ে রক্তাক্ত করছে বাসিন্দাদের।
হনুমানের ভয়ে অধিকাংশ সময়েই ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকাবাসী। ভয় বাড়ছে খুদেদের নিয়েও। গত কয়েকদিনে একের পর এক বাসিন্দা হনুমানের কামড়ে জখম হয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছেন না অনেকে। আতঙ্কে রযেছেন প্রবীণ নাগরিকরা। রাস্তায় কাউকে হাঁটতে দেখলেই আচমকা তাঁর উপর আক্রমণ চালাচ্ছে হনুমান। রবিবার রাতেও ৩ গ্রামবাসী হনুমানের কামড়ে জখম হয়েছেন।
রবিবার রাতেই কুমারহাট গ্রামে একটি দোকানে ঢুকে পড়েছিল একটি হনুমান। এই ঘটনার পর ক্ষোভ আরও বাড়ে। এলাকা থেকে হনুমান তাড়ানোর দাবিতে সরব হন বাসিন্দারা। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় পথ অবরোধ। সোমবার সকাল ৭ টা থেকে দেউলিয়া-খন্যাডিহি রাস্তা অবরোধ করেন কুমারহাট গ্রামের বাসিন্দারা। একটানা প্রায় ঘণ্টা চারেক ধরে চলে অবরোধ। পরে কোলাঘাট থানার পুলিশ এসে অবরোধ তোলে। দোকানে ঢুকে পড়া হনুমানটি উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। এলাকায় ঘুরে বেড়ানো বাকি হনুমানগুলিকেও ধরার আশ্বাস দিয়েছেন বনাধিকারিকরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours