আদালতের নির্দেশে উঠেছে বিক্ষোভ, অথচ এখনও ৩ পড়ুয়ার সাসপেনশন বজায় রয়েছে। এবার তাই ওই সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীর বাসভবনে ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হয়ে গেল পড়ুয়াদের একাংশ। রবিবার পড়ুয়াদের এই গান্ধিগিরি সাক্ষী থাকল বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতী থেকে সম্প্রতি সাসপেন্ড করা হয়েছে তিনজন পড়ুয়াকে। অভিযোগ ওঠে, উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তী ব্যক্রিগত কারণে ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং রূপা চক্রবর্তীকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করেছেন। একইসঙ্গে পদার্থ বিজ্ঞানের দুই অধ্যাপক পীযুষকান্তি ঘোষ ও অরণি চক্রবর্তীকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে গত ২৭ অগস্ট বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থান শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। এরপর নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন উপাচার্য। গত শুক্রবারই এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট কড়া নির্দেশ দেয়, দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। ওইদিনই খুলে ফেলা হয় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ মঞ্চ। এরপর শনিবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্বভারতীর ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফল প্রকাশের কাজ চলবে। অথচ পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সাসপেনশন নিয়ে আর কোনও কথা উঠছে না। আর তাই এবার বিক্ষোভ দেখানোর অভিনব উপায় বাতলে নিল বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা।

রবিবার উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীর বাসভবনে ফুলের তোড়া নিয়ে পৌঁছে যান আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। সঙ্গে দু'টি পোস্টারও ছিল তাঁদের হাতে। যেখানে লেখা ছিল, 'উপাচার্য তিনটি ছাত্রজীবনরে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না।' আরও একটি পোস্টারে রবীন্দ্রনাথের একটি উক্তি তুলে ধরা হয়, 'কঠোর শাসননীতি শাসয়িতারই অযোগ্যার প্রমাণ।' এদিন তাঁরা ওই তিন পড়ুয়ার সাসপেনশন অর্ডার প্রত্যাহারের দাবি জানান। তবে উপাচার্যের বাসভবনের সদর দরজা বন্ধ থাকায়, বাইরেই ওই ফুলের তোড়া এবং পোস্টার বার্তা রেখে দেয় পড়ুয়ারা।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours