ভারতেই বড়সড় পাক মডিউলের  পর্দা ফাঁস করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে অভিযান চালিয়ে ছ'জন জঙ্গিকে  গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস)। গোয়েন্দা অফিসাররা বলছেন, এই মডিউলের মাথার খোঁজ মিলেছে। সে ও তার শাগরেদ ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে দুবাইতে। তাদের ভারতের হাতে তুলে দেবে দুবাই পুলিশ। পাশাপাশি, ধৃতদের জেরা করে জানা গেছে, তাদের সঙ্গেই যোগসূত্র আছে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল মুজাহিদিনের। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল জানাচ্ছে, গণেশ চতুর্থীর দিনেই দেশে বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক ছিল এই ছ'জনের। সামনেই একাধিক উত্‍সব আসছে। দেশের নানা প্রান্তে জঙ্গি মডিউল তৈরি করার জন্যই পাঠানো হয়েছিল এদের। ধৃতরা মূলত দিল্লি ও লখনৌয়ের বাসিন্দা। যে ৬ জন ধরা পড়েছে তাদের নাম শেখ ওরফে সমীর ওসামা (২২), মূলচাঁদ (৪৭), মহম্মদ আবু বকর (২৩), জিশান কামার (২৮) ও মহম্মদ আমির জাভেদ (৩১)। লখনৌ থেকে এই ছ'জন জঙ্গি মাসকটে গিয়েছিল। সেখান থেকে সমুদ্র ও স্থলপথ ধরে পাকিস্তানে। গোয়েন্দা অফিসাররা বলছেন, জঙ্গিরা পাকিস্তানে গিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কাছে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়। বিস্ফোরক তৈরি, অস্ত্র চালনা, 'ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস' (আইইডি)-র ট্রেনিংও দেওয়া হয় তাদের। আসন্ন দশেরা এবং দীপাবলীর সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটনোর ষড়যন্ত্রে শামিল ছিল ধৃত ছ'জন জঙ্গি। ওসামা এবং জিশানকে এ জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছিল আইএসআই। ধৃতরা পাকিস্তানের স্লিপার সেলের সক্রিয় সদস্য বলেও জানা গেছে। তদন্তকারীরা বলছেন, পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রান্ত এই জঙ্গিদের সঙ্গে বাংলাদেশি জঙ্গি যোগও ভাবাচ্ছে। ধৃতদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেয় দিল্লির বাসিন্দা ওসামা ওরফে শামি এবং প্রয়াগরাজের জিশান কামার। এদের সঙ্গেই ১৫-১৬ জন বাংলাদেশি জঙ্গির আলাপ হয়েছিল যারা জামাত-উল মুজাহিদিনের সদস্য বলে জানা গেছে। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে এরা নেপাল হয়ে মাসকটে পৌঁছয়। সিন্ধু প্রদেশের থাটাতে এদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই খাটাতেই আত্মঘাতী জঙ্গি বা ফিদাঁয়ে তৈরির প্রশিক্ষণও চলে। ধৃতরা বলেছে, পাকিস্তানের সেনা কমান্ড্যাররাই প্রশিক্ষণ দেয় জঙ্গিদের। তদন্তকারীরা আরও বলছেন, ধৃতদের জেরা করে জানা গেছে, এদের অনেকেই আগে দাউদ ইব্রাহিমের ডি-কোম্পানির হয়ে কাজ করত। মূলচাঁদ ও সমীর ডি-কোম্পানির হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারের কাজ করত। সেখান থেকেই তাদের বেছে নেয় পাক আইএসআই।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours