ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে তালিবানকে 'কার্যত' স্বীকৃতি দিল রাশিয়া ও চিন। প্রত্যাশিতভাবেই জেহাদিদের মান্যতা দিল পাকিস্তানও। সোমবার আফগানিস্তান নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) বৈঠকে তালিবানের পাশে দাঁড়াল মস্কো ও বেজিং।
রবিবার কাবুল দখল করে তালিবান যোদ্ধারা। দেশ ছেড়ে পলায়ন করেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। কাবুলের রাস্তায় ও বিমানবন্দরে দেশ ছাড়ার জন্য ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। এহেন সংকটকালে দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ওই বৈঠকে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত চিনের স্থায়ী সহকারী রাষ্ট্রদূত গ্যাং শুয়াং বলেন, 'আফগান জনগণের ইচ্ছা ও পছন্দের সম্মান করে চিন।' সহজ কথায় তালিবাণই শাসকদের স্বীকৃতি দিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। একইভাবে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, 'আমাদের কাছে যা খবর আছে সেখানে স্পষ্ট হচ্ছে যে দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনছে তালিবান। আমজনতা ও বিদেশি কুটনীতিকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে তারা। ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে আমরা তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসব।' এদিকে, সংবাদমাধ্যমে আফগানিস্তানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ দূত দিমিত্রি ঝিরনভ সাফ বলেন, 'আশরফ ঘানির চাইতে তালিবানের নেতৃত্বে কাবুলের পরিস্থিতি অনেকটা শান্তিপূর্ণ। গতকাল তাসের ঘরের মতো আশগরফ ঘানির সরকার ভেঙে পড়েছে।' একইভাবে, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের দূত মুনির খান বলেন, 'সকলকে নিয়ে সরকার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে তালিবান। আমরা তাদের কথা বিশ্বাস করি।'
বিশ্লেষকদের মতে, বিগত ৭ বছর ধরে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে রাশিয়া। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েন থাকায় পূর্ব এশিয়া নিয়ে উদ্বেগে ছিল মস্কো। ওই অঞ্চলের দেশগুলি বা প্রাক্তন সোভিয়েত অঙ্গরাষ্ট্রগুলি যেমন-তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তানের উপর রাশিয়ার প্রভাব রয়েছে। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মস্কো। একইভাবে আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব খর্ব করতে তালিবান জঙ্গিদের মদত দিয়ে আসছে পাকিস্তান। সেই চেষ্টা এবার ফলপ্রসূ হয়েছে। আশরফ ঘানি সরকারের পতনে আরও এক বন্ধু হারিয়েছে নয়াদিল্লি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours