বাংলায় একুশের বিধানসভায় ব্যাপক সাফল্য অর্জনের পর অক্সিজেনের কোনো খামতি নেই ঘাসফুল শিবিরে। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি বিরোধীতায় দেশের মধ্যে অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিটা পদক্ষেপের বিচারে বাংলার পর দলকে ত্রিপুরাতেও প্রতিষ্ঠা করতে তৃণমূলকে বদ্ধপরিকর মনে হয়। যার ব্যতিক্রম নেই ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের ক্ষেত্রেও।
আজ ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে ত্রিপুরাতেও পালিত হল অনুষ্ঠান। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আগরতলা সার্কিট হাউসের সামনে পালন করলেন প্রতিষ্ঠা দিবস। উপস্থিত ছিলেন বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসের দুই পরিচিত মুখ কুণাল ঘোষ ও শান্তনু সেন। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন শান্তনু সেন ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা উত্তোলন করেন ছাত্র নেত্রী সোলাঙ্কি সেন।
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই ছাত্র ও যুব সমাজকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি নিজেও একসময় কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব শাখা করে রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন। আজ মমতা একটি টুইট করে লেখেন, "আজকের দিনে ছাত্র পরিষদের সকল সদস্যকে আমি শুভেচ্ছা জানাই। দলের প্রতি প্রত্যেকের নিষ্ঠা এবং অবদানে আমরা গর্বিত। আজ সমস্ত ছাত্রদের কাছে আমার আর্জি, যাঁরা গণতন্ত্রকে নষ্ট করতে চায়, তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।" জানা গেছে, দুপুর ২টো নাগাদ ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বক্তৃতা শোনানো হনে বিভিন্ন কলেজে। সেখানেও নবাদ যাবে না ত্রিপুরা। সঙ্গে থাকবে একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে টুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, 'ছাত্ররাই আমাদের গর্ব। ছাত্র সমাজের অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সত্যিই গর্ব করি আমি।'এবছর একুশে জুলাই থেকে শুরু করে খেলা দিবস সব কর্মসূচিকেই বাংলার বাইরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তৃণমূল। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসকেও দেশব্যাপী পালন করতে উদ্যোগের খামতি নেই তৃণমূল কংগ্রেসের।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours