আলিমুদ্দিনের নির্দেশ হাতে পেতেই টিকা নিতে হুড়োহুড়ি সিপিএমের নেতা-কর্মীদের। কারণ পঁয়তাল্লিশ ঊর্ধ্ব সদস্যদের দু'টি টিকা   বাধ্যতামূলক করল আলিমুদ্দিন। দু'টি টিকা না নেওয়া থাকলে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার উপর জারি হল নিষেধাজ্ঞা। নবীনদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম একটি টিকা নিতেই হবে। কোভিডবিধি মেনে সম্মেলন করতেই এহেন নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞার পর বিমান বসুর  মতো প্রবীণ নেতাকেও ভ্যাকসিন নিতে ছুটতে হচ্ছে।

গতবছর কোভিড আবহে সম্মেলন হয়নি। একবছর পিছিয়ে দেওয়া হয় সম্মেলন প্রক্রিয়া। এবার কোভিড আবহের মধ্যেই সম্মেলন শেষ করার সিদ্ধান্ত দিল্লির একেজি ভবনের। এপ্রিলে কেরলের কান্নুরে হবে পার্টি কংগ্রেস। কিন্তু কেরলের করোনা পরিস্থিতি কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করছে সীতারাম ইয়েচুরি-প্রকাশ কারাতদের। তবে সম্মেলন প্রক্রিয়া থামিয়ে দিতে রাজি নয় আলিমুদ্দিন। কোভিড বিধি মেনেই শাখা থেকে রাজ্য পর্যন্ত সম্মেলন করতে হবে বলে নির্দেশ আলিমুদ্দিনের। নির্দেশে বলা হয়েছে, ৪৫-এর উপরে সকল প্রতিনিধির দু'টি করে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। টিকা নেওয়া না থাকলে সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করা যাবে না। ৪৫-এর নিচে সব সদস্যকে কমপক্ষে একটি টিকা নিতে হবে। এছাড়াও খোলামেলা জায়গায় দূরত্ববিধি মেনে প্রতিনিধিদের বসার ব্যবস্থা করতে হবে।

আলিমুদ্দিনের এই নির্দেশের পরই বিতর্ক দানা বেঁধেছে পার্টির অন্দরে। এক সিপিএম নেতার কথায়, সম্মেলন পার্টির অভ্যন্তরীণ একটি প্রক্রিয়া। সেখানে সাধারণের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকে। জেলা সম্মেলন কমপক্ষে ৪০০ থেকে ৫০০ প্রতিনিধি অংশ নেন। ৬ মিটার দূরত্বে প্রতিনিধিদের বসার ব্যবস্থা করতে হলে যে আয়তনের প্রেক্ষাগৃহ প্রয়োজন, তা সব জেলাতে নেই। গোপনীয়তা বজায় রেখে সম্মেলন করা সমস্যার। আবার রাজ্য সম্মেলন হবে কলকাতায়। কমপক্ষে ৭০০ থেকে ৮০০ প্রতিনিধি আসবেন। সেখানে কীভাবে কোভিডবিধি মানা সম্ভব তা নিয়েও চিন্তায় কমরেডকুলের নেতারা।

নির্দেশিকায় প্রতিনিধিদের মাস্ক বাধ্যতামূলক ও প্রত্যেক বক্তার বক্তব্য শেষ হতেই পোডিয়াম স্যানিটাইজ করার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সম্মেলন চালাতে অনেক সময় লাগবে। নির্দেশিকা মানতে গেলে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সম্মেলন শেষ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলেই মনে করছে পার্টি নেতৃত্ব।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours