স্বামীর অনুপস্থিতিতে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে গণধর্ষণের  অভিযোগ। তারপর নির্যাতিতার হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতের ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হাওড়ার  বাগনানের ষষ্ঠীতলা এলাকায়। মহিলার পরিবারের সদস্যদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর। ধৃতদের একজন স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলে জানা গিয়েছে। নিগৃহীতা বিজেপি পরিবারের সদস্য। ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে এলাকায়।

ঘটনা শনিবার রাতের। জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী ও ছেলে রাতে বাড়িতে ছিলেন না। একাই ঘরে ছিলেন অসুস্থ মহিলা। বছর খানেক আগে স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। ফলে বাকশক্তি হারিয়েছেন। এই অবস্থায় বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে শনিবার রাতে গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তারপর হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে চম্পট দেয়। পরে প্রতিবেশীরা তাঁকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করেন। আহত গৃহবধূকে ভরতি করানো হয় উলুবেড়িয়া  

মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিত্‍সাধীন তিনি। খবর পাঠানো হয় তাঁর স্বামী, ছেলেকে।


এরপর রবিবার রাতে গৃহবধূর স্বামী ৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উলুবেড়িয়া মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে রবিবার রাতেই দেবাশিস রানা ও কুতুবুদ্দিন মল্লিক নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা স্থানীয় তৃণমূল 

নেতা বলে পরিচিত এলাকায়। ধৃতদের আজ উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গৃহবধূর স্বামী সক্রিয় বিজেপি   কর্মী হিসেবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কাজ করেছিলেন। যদিও নির্বাচনের পর থেকে তিনি ঘরছাড়া ছিল। বছর খানেক আগে শারীরিক সমস্যার কারণে ওই গৃহবধূ বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেই সুযোগে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা কিছু বলতেও পারছেন না। এই অবস্থায় তাঁর বয়ান নেওয়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। ঘটনার খবর পেয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জেলা তৃণমূল নেৃত্বের। হাওড়া টাউন তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায়ের আশ্বাস, দোষী যে-ই হোক, গ্রেপ্তার করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours