রক্তাক্ত ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার মহিলা, ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মহেশতলার ফটিকঘাটা এলাকায়। শনিবার সকালে ফুটপাতের পাশে ত্রিপল চাপা অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার হয়। তাঁর দেহের নিম্নাংশে কোনও পোশাক না থাকায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও পরিবারের অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থা তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালের, সেখানে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে চিকিত্‍সাধীন তিনি।

পুলিস সূত্রে খবর, বছর ৪২ এর ওই অবিবাহিত মহিলা মহেশতলা এলাকারই বাসিন্দা। সকালে মোল্লা গেটে দুধের ডিপোয় যাচ্ছিলেন, যেটি দেখাশোনা করেন তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী।

নিজে নার্সিংয়ের কাজ করলেও এখন বাড়িতেই ছিলেন। সম্প্রতি ভাইয়ের স্ত্রীর সন্তান হওয়ায় তিনিই গত একমাস ধরে সকালে দুধের ডিপোয় তিনিই যেতেন।

এদিন সকাল ৮ টের পর বাড়ি থেকে বের হন নির্যাতিতা। সঙ্গে ছিল ২৫ হাজার টাকা। নির্যাতিতার ছোট বোন জানান, সকালে ডিপো থেকে ফোন করে জানানো হয় দিদি সেখানে পৌঁছয়নি। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।

ঐ ফোন পাওয়ার পরই খোঁজ খবর শুরু করে দেন পরিবারের লোকজন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা যেতেই তারা লক্ষ্য করেন একটি কয়লার দোকানের সামনে লোকজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে দেখেন, তার দিদি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার দেহের নীচের অংশ বস্তা দিয়ে ঢাকা। চোখে, মুখে কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছে। মাথা দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরিয়ে চলেছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

স্থানীয় মানুষজনের দাবী, এলাকায় মদ-জুয়ার ঠেক চলে। পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয় না। এনিয়ে এদিন পুলিসের বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। তাদের দাবী, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours